

জম্মু ও কাশ্মীরে লড়াইয়ের জন্য সিরিয়ার ‘মুজাহিদ’ পাঠানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে তুরস্ক। এ দাবি এক গ্রিক সাংবাদিকের। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মারাঠি ভাষার সংবাদমাধ্যম ‘লোকমাত’-এর ইংরেজি সংস্করণে। দেশটির আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ খবর ছাপা হয়।
আন্দ্রেজ মাউন্টজুরালিয়াস নামের ওই সাংবাদিক তুরস্কের পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরে ‘পেন্টাপোসটাগ্মা’ নামের গ্রিক মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশন করেন। সংবাদের শিরোনাম দেওয়া হয়- ‘কাশ্মিরে ভাড়াটে পাঠাচ্ছেন এরদোগান’। খবরে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বাড়িয়ে মুসলিম বিশ্বে সৌদি আরবের কর্তৃত্ব খর্ব করে চালকের আসনে তুরস্ককে স্থলাভিষিক্ত করার উদ্দেশ্যে এ পদক্ষেপ নিচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট তার সাবেক সামরিক উপদেষ্টা আদনান তানরিভার্দির নেতৃত্বাধীন গোপনীয় প্যারামিলিটারি গ্রুপ ‘সাদাত’-এর মাধ্যমে এ কাজ করতে যাচ্ছেন। কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত সৈয়দ গোলাম নবী ফাই এ কাজে যুক্ত থাকবেন। ওই সংবাদে বলা হয়, গোলাম নবী আমেরিকার মাটিতে বসে ভারতের বিরুদ্ধে তহবিল সংগ্রহ করেন। তিনি বিভিন্ন অপরাধে মার্কিন কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করেছেন বলেও খবরে বলা হয়।
সংবাদে আরও বলা হয়, গোলাম নবীর যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংগঠন ‘দ্য কাশ্মিরি আমেরিকান কাউন্সিল’ (কেএসি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ‘সাদাত’-এর ফ্রন্ট অর্গানাইজেশন ‘দ্য ইউনিয়ন অব এনজিওস অব ইসলামিক ওয়ার্ল্ড’-এর। ‘কেএসি’কে অর্থ সহায়তা দেয় পাকিস্তানের ‘ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’ (আইএসআই)। ‘কেএসি’ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে ‘আইডিএসবি’র তালিকাভুক্ত দুই সদস্য সংগঠনের একটি এবং গোলাম নবী আইডিএসবি’র নীতি-নির্ধারণী কাউন্সিল সদস্য।
খবরে বলা হয়, ‘সাদাত’-এর অতীতের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে জানা গেছে, গোলাম নবী তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা তানরিভার্দির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করেছেন। তিনি এখনও তুর্কি প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন।
আন্দ্রেজ মাউন্টজুরালিয়াস নামের ওই সাংবাদিকের তথ্যমতে, ‘সাদাত’ তুরস্ক, সিরিয়া, লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে জিহাদিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। জিহাদিদের লজিস্টিক হাব হিসেবে কাজ করছেন তারা। গ্রুপের প্রধান তানরিভার্দির লক্ষ্য হলো, তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থার উৎপাটন করে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং মুসলিম দেশগুলোর অংশগ্রহণে ‘ইসলামি সামরিক বাহিনী’ প্রতিষ্ঠা করা।