

ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
কুয়েতের একজন গায়িকা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওই গায়িকা নিজেই তার ইহুদি ধর্ম গ্রহণের কথা ঘোষণা করার পর কুয়েতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ইবতিসাম হামিদ। মানুষ বাসমা আল কুয়েতি নামে তাকে ভালো চেনেন। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ইসলাম ধর্ম থেকে ইহুদি ধর্ম নারীর অধিকারের প্রতি বেশি সহনশীর হওয়ার কারণে তিনি ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, আমি ইবতিসাম হামিদ। আমি বাসমা আল কুয়েতি নামেও পরিচিত। আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগের কথা ঘোষণা করছি।
আল কুয়েতির ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বাসমা বলেন, ইসলাম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম এবং ভন্ডামি। যা নারীকে ঘৃণা করে। তাদের নিপীড়ন ও অত্যাচার করে। এবং তাদের পরিপূর্ণ অধিকার দেয় না। আমি গর্বিত যে, আমি ইহুদি।
দ্য নিউ আরামের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অস্বীকার করায় কুয়েতের রাজপরিবার আল সাবা’র নিন্দা করেছেন তিনি।
‘‘আমি ঘোষণা করছি যে, আমি আল সাবাহ পরিবারের বিরোধী এবং তাদের অন্তর্ভূক্ত নই- যারা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অস্বীকার করেছে। যা আমার ধর্মের স্বাধীনতা এবং মতামতের স্বাধীনতা। আমি তাদের প্রতি আনুগত্য বা সহযোগিতা প্রদর্শন করি না। ’’ তিনি বলেন।
এটি গায়িকার জন্য বড় পরিবর্তন। যিনি ২০১৮ সালে দাবি করে যে, ইসলাম অনুযায়ী মিউজিক নিষিদ্ধ। তিনি এ বিষয়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা চেয়েছিলেন।
তিনি আরও দাবি করেন, তিনি পবিত্র কুরআন মুখস্ত করার জন্য কুয়েতের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম দশ জন শিক্ষার্থীদের ভেতর ছিলেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য নিউ আরাব জানায়, বাসমা কুয়েতে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তার মাও কয়েতের নাগরিক। কিন্তু তিনি আইন রোধকারী নারী হওয়ার কারণে তিনি তার বাচ্চাদেরকে কুয়েতের নাগিকত্ব দিতে পারবেন না।
সূত্র আরও জানায়, বাসমা আল কুয়েতি এখন কুয়েতে বসবাস করেন না।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাসমা আল কুয়েতি এর আগে কুয়েতের নাগিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
গত মাসে কুয়েতি সম্প্রচারক মুহাম্মাদ আল মুমিনের খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের ঘোষণার পরের মাসেই বাসমা আল কুয়েতির ইহুদি ধর্ম প্রচারের খবর এল।
অবশ্য বাসমা ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করার পর কিছু সমর্থনও পেয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, নিজের বিশ্বাস বেছে নিতে বাসমার স্বাধীন হওয়া উচিত।
দ্য নিউ আরাব থেকে ইসমাঈল আযহারের অনুবাদ