

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। সেখান থেকেই লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন, যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে?
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার। তার অবদানকে কেউ অস্বীকার করবে, এটা আমরা ভাবতেও পারি না।
তার খেতাব বাতিল করার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননা। ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ৭২তম সভা থেকে জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। ফলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জিয়াউর রহমানের পরিবার আর কোনো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার কথা বরাবরই বলে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা (অবশ্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি)।
সেজন্য তার খেতাব কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। গতকাল এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের বিষয়টি উত্থাপন করেন জামুকার সদস্য ও সাংসদ শাজাহান খান। কেন তার খেতাব বাতিল করা উচিত, সে ব্যাপারে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। এরপর তাকে সমর্থন করেন সভার সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও অন্যান্যরা।
এ ব্যাপারে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান স্পষ্টতই সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টিও প্রমাণিত। পরে খুনীদের সাহায্য-সহযোগিতাও করেছেন। এসব বিষয় বিবেচনা করে তার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।