প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী হতে বলেছিলেন : শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী হতে বলেছিলেন। আমি মন্ত্রী হই নাই। ভণ্ডামি করতে রাজনীতিতে আসি নাই। আমি আপাকে বলেছিলাম, আমাকে না আপা আশরাফ ভাইকে মন্ত্রী বানান। আমি মন্ত্রী না হয়ে আশরাফ ভাইকে মন্ত্রী হওয়ার জন্য বলেছিলাম। মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজনীতি করতে আসি নাই।

আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটিতে আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ.লীগ এ স্মরণসভার আয়োজন করে। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ এমপি।

শামীম ওসমান বলেন, আগামীতে আমি নির্বাচন করমু না এটা আমি ডিরেক্ট ডিক্লেয়ার দিয়েছি। আগামীতে দেশের পরিস্থিতি যদি এ রকম থাকে, নেত্রীর ওপর আবার যদি হামলা করার চেষ্টা না করা হয় তাহলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমি এই মুহূর্তে জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি আছি।

আ.লীগ নেতা মাহবুব উল হানিফকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জে জাতির পিতার নামে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ভালো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একটি ভালো মানের স্কুল চাই। ইচ্ছা করলে কালকেই সরকার এটা ঘোষণা করতে পারে। আপনি হানিফ ভাই নেত্রীকে এ বিষয়ে বলবেন, আপনি থাকলে আমি সাহস পাই।

প্রয়াত আ.লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে শামীম ওসমান বলেন, আমি আশরাফ ভাইকে বিভিন্নভাবে চিনি। গত ৯৬ সালে আমি এমপি হই তখন আমার বাম দিকের সিটটাতে আশরাফ ভাই বসতেন আর আরেক সিটে বসতেন তাজ ভাই।

পৃথিবীতে যতজন ভালো মানুষ আমি দেখেছি তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ ভাই। একটা আশরাফ ভাই খুঁজে পেতে অনেক ক্ষতি হয়। রাজনীতিতে এখন ভণ্ড মানুষের প্রভাব এতো বেশি যে, আশরাফ ভাইদের মতো মানুষ চলে গেলে রাজনীতিতে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। এই ক্ষতি শেখ হাসিনার ক্ষতি, বাংলাদেশের ক্ষতি।

মহানগর আ.লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সারোয়ার জাহান বাদশা, জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, মহনগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, জিএম আরমান, শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সামিউল্লাহ মিলন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া প্রমুখ।

মন্তব্য করুন