নবীজির জীবন ও ইসলামের নিদর্শন তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র ও যাদুঘর

বিশ্বজুড়ে এমন আরও যাদুঘর নির্মাণ করা হবে

প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবন ও ইসলামি সভ্যতার নিদর্শন তুলে ধরতে মদিনায় পবিত্র মসজিদে নববীর পাশে একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র ও যাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি মদিনার গভর্নর ও অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান এটির উদ্বোধন করেন। 

আজ শনিবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র ও যাদুঘরটির প্রতিষ্ঠা কেবল সৌদি আরবের সাংস্কৃতিক ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে ভিশন ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই নয়, বরং প্রযুক্তির ব্যবহারেও সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া। আর এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রশংসা করেছেন পবিত্র নগরী মদিনার গভর্নর। হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবন ও ইসলামি সভ্যতার নিদর্শনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র ও যাদুঘরটি মুসলিম বিশ্ব লীগের (এমডব্লিউএল) তত্ত্বাবধানে নির্মিত। বিশ্বজুড়ে এমন আরও যাদুঘর নির্মাণ করা হবে। তবে এটিই প্রথম।

এর অবস্থান মসজিদে নববীর পাশেই। ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে এবং এটি রাসূল (স.) কে উৎসর্গ করা হয়েছে। প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান বলেন, প্রদর্শনী কেন্দ্র ও যাদুঘরটির বিষয়বস্তুগুলো এমন একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা থেকে নবীদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বের সকল স্থানে সহজেই ছড়িয়ে পড়বে। এর মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্বে ইসলামের সহনশীলতা, সংযম ও সৌন্দর্য প্রদর্শন করা যাবে। যাদুঘরে কয়েক ডজন পেইন্টিং এবং ইন্টারেক্টিভ প্রদর্শনী রয়েছে।

আপাতত দর্শনার্থীদের জন্য আরবি, ইংরেজি, স্প্যানিশ, উর্দু, ফরাসি, তুর্কি এবং ইন্দোনেশীয়, এই সাতটি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একটি ফোরডিএক্স থিয়েটারও স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে নবী করিম (স.) এর জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

প্রদর্শনীর ২৫টি প্যাভিলিয়নের মধ্যে একটিতে ইসলামে নারীদের ইতিহাসের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। সেখানে সত্য ও পূণ্যের বার্তা প্রচারের মাধ্যমে ইসলামের প্রাথমিক যুগে নারীরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং রাসূল (স.) এর জীবনে নারীরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা তুলে ধরা হয়েছে। নবী করীম (স.) এর জীবনে শিশুদের গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।

বিশেষ করে তিনি কীভাবে তাদের সঙ্গে খেলা করতেন এবং কীভাবে সর্বোত্তম আচরণ করতেন, সেই গল্পগুলো উদ্ধৃত করা হয়েছে। অন্য একটি প্যাভিলিয়নে নবী (স.) এর ব্যক্তিগত সম্পত্তি, তার আসবাব, পোশাক, পাদুকা এমনকি তার চিরুনির বিস্তারিতসহ অনেকগুলোর পুনর্গঠন এবং বর্ণনা করতে থ্রিডি, ভার্চুয়াল-রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্য প্যাভিলিয়নগুলোর মধ্যে আছে আল্লাহর ৯৯টি নাম ও সেগুলোর মমার্থ, রাসুল (স.) এর মদিনার সনদ, কুরআন-সুন্নাহর বাণী, ইসলামের অন্যান্য নবীদের জীবনী, ইসলামি সভ্যতার ইতিহাসসহ আরও অনেক কিছু।

মন্তব্য করুন