

মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা আবারও সেনাবাহিনীর দখলে। অং সান সু চিসহ ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করা হয়েছে গতকাল সোমবার। এরপর ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই নতুন সরকার ঘোষণা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
তার আগে সু চির মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কেউ কেউ বরখাস্ত হওয়ার আগেই নিজে থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়- মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে মোট ২৪ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অপরদিকে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে ১১ জন মন্ত্রীকে, যাদের অধিকাংশই এতদিন ছিলেন সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদগুলোতে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে সেনা সমর্থিত বিরোধী দল ইউএসডিপির শীর্ষ নেতা উনা মং লউনকে, যদিও সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি হেরে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে ১ বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
এক বার্তায় তারা বলেছে, গত নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ থাকায় সরকার ভেঙে দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনিই এখন দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যাতে জয় পায় সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
তবে বিরোধী দল ইউএসডিপির অভিযোগ, নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে সুবিধা পাইয়ে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ সামরিক শাসনের বিলুপ্তির পর এটা ছিল দেশটির দ্বিতীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন। প্রথমটি হয় ২০১৫ সালে। সেবারও এনএলডি জয় পেয়েছিল।