

ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় চীন বলছে, তারা এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে এবং পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে। মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার চীন। দেশটির খনি, অবকাঠানো এবং গ্যাস পাইপলাইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে চীনের।
সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘মিয়ানমারে কী ঘটেছে, তা আমরা লক্ষ করেছি এবং এখন আমরা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও জানছি। চীন মিয়ানমারের প্রতিবেশী বন্ধু। আমরা আশা করি, সংবিধান এবং আইন মেনে সব পক্ষ সঠিকভাবে তাদের বিভেদ কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে। ’
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি।
এদিকে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। একই সঙ্গে অং সান সু চিকে আটক করা নিয়েও অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
খবর হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানানো হয়, এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলতে দেওয়া ও আইনের শাসন অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখা হচ্ছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরার প্রক্রিয়াকে সবসময় সমর্থন করেছে ভারত। এ জন্য আইনের শাসন ও গণতন্ত্র ফেরার প্রক্রিয়াকে বজায় রাখা দরকার। মিয়ানমারের সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে জটিল সম্পর্ক রয়েছে ভারতের।
সোমবার ভোরে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে আটক করার পর দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনাবাহিনী। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে– দেশটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, তারা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।