

ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট অযোধ্যা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) এআইএমআইএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওআইসির একটি মন্তব্য সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এক জনসভায় তিনি বলেন, অযোধ্যার এ মসজিদে নামাজ পড়লে ‘হারাম’ হবে। তার এ মন্তব্যের পরই পাল্টা জবাব দেন ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। জবাবে ট্রাস্ট জানিয়েছে, যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য প্রার্থনা করা হয় তা কখনোই ‘হারাম’ হতে পারে না।
ওআইসি আরও বলেন, অযোধ্যায় যে মসজিদ হবে সেখানে প্রার্থনা করা বা তার জন্য চাঁদা দেওয়া হারাম। ওখানে কোনো মুসলিমের প্রার্থনা করা উচিৎ নয়। মসজিদের জন্য চাঁদা দেওয়া থেকে গরীব মেয়ের বিয়েতে সাহায্য করা উচিত। ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ এর আরেমরাসহ অনেক ধর্মীয় উচ্চশিক্ষিতদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি এবং তারাও এই দাবি করেছেন।
ওআইসি এমন মন্তব্যে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে ট্রাস্ট। ভারতের সংবাদমাধ্যমে ট্রাস্টের সম্পাদক আফতার হোসেন ওআইসির ওই মন্তব্যের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বলেন, ওয়েইসি এমন কোনো অঞ্চলে বড় হয়েছে যেখানে কোনো রকম ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রভাব পড়েনি। তার পূর্বপুরুষরা হয়তো ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহতেও অংশ নেয়নি। এই অযোধ্যা ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এক পুণ্যভূমি বলেও জানান ট্রাস্টের ওই সম্পাদক।
৬ মাস আগে মসজিদ নির্মাণের জন্য তৈরি হয় ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। ট্রাস্টের একাংশ চেয়েছিল ২৬ জানুয়ারিই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হোক। কেননা, ওই দিন দেশটির ঐতিহাসিক সংবিধান কার্যকর হয়েছিল বলে দিনটিকে ঠিক করেছিলেন তারা। কিন্তু ওই দিন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়নি। মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে এবং তারপর নকশা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।