

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে তারা পাকিস্তানের দোসর। তারা এদেশে মওদুদীর মতবাদ কায়েম করতে চায়। এদেশে জিয়ার ভাস্কর্য আছে, ইসলামি রাষ্ট্র সৌদি আরব, তুরস্ক, পাকিস্তানে শত শত ভাস্কর্য আছে তার বিরুদ্ধে তারা কথা বলে না।
দেশের আলেম সমাজ ভাস্কর্য নিয়ে ইসলামের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এ বিষয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক আলেমদের মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে বলেন, যতদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এ দেশে বেঁচে থাকবে, ততদিন এ দেশে মৌলবাদী অশুভ শক্তির স্বপ্ন কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হবে না।
বুধবার বিকালে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল মাঠে কপিলমুনি মুক্তদিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, খুনি জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতায় এসে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাতিল করেছিলেন। তিনি রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছেন। রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া, নিজামী, মুজাহিদকে মন্ত্রী করেছে। তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়েছে। তারা মক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে চুরি করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনি দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এতিমদের টাকাও মেরে খেয়েছেন। এজন্য তার সাজাও হয়েছে। এসব মামলায় তিনি কারাগারে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন।
আলেমদেরকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মৌলবাদী চক্র ধর্মীয় উস্কানির মাধ্যমে দেশে আবারও অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু যতদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা বেঁচে থাকবে, মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকবেন ততদিন মৌলবাদী অপশক্তি কোনো স্বপ্ন এদেশে বাস্তবায়িত হবে না। মুক্তিযোদ্ধারা ও বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেবে না। আমার সম্মিলিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।
খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) সাদেকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন-পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পাইকগাছা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হানিফ প্রমুখ।
এরাঙ্গনাদের তালিকা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তালিকা তৈরির কাজ অব্যাহত আছে। তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য তিনি বীরাঙ্গনাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত তালিকা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার পরই ত্রিশ লাখ শহীদের তালিকা প্রণয়ন করার কাজে হাত দেবে সরকার।
আই.এ/