আফগানিস্তানের একটি ইসলামী শাসন থাকা উচিত : শান্তি আলোচনায় তালেবান

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০

কাতারের রাজধানী দোহায় আফগান সরকার ও তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনার বৈঠক চলছে। বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিকরা সহ আফগান সরকারের প্রতিনিধি দল ও তালেবানের সদস্যরা উপস্থিত আছেন এ শান্তি আলোচনায়।

আলোচনার প্রারম্ভে তালেবানের উপ-প্রধান মোল্লা আবদুল গণি বারাদার বলেছেন যে তালেবান আফগানদের আশ্বাস দেয় যে তারা শান্তি আলোচনাটি আন্তরিকভাবে করবে। তিনি বলেছেন যে “আফগানিস্তানের একটি ইসলামী ব্যবস্থা থাকা উচিত যেখানে সমস্ত আফগানকে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া উচিত এবং ভ্রাতৃত্বের সাথে একত্রে বাস করা উচিত।”

শান্তি আলোচনায় উপস্থিত থাকা উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল আজিজ কামিলভ বলেছেন,  এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই মৌলিক ও আফগানিস্তানের নিজস্ব স্বাধীনতার ভিত্তিতে হবে। তিনি কাতার সময় ১১ : ৪৫ মিনিটে বক্তব্য দিয়েছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইন বলেছেন যে, চীন সুপারিশ করে এই শান্তি প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের মৌলিক দিক বজায় রাখবে, যেন আলোচনাটি আফগান-নেতৃত্বাধীন হয় এবং সকলেই একটি বিস্তৃত সুবিশাল শান্তির ভিত্তি অনুসরণ করেন। তিনি ১১ : ৩৬ মিনিটে বক্তব্য দিয়েছেন।

নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন – “আমি বিশ্বাস করি যে উভয় দলই তাদের সহিংসতার অবসান ঘটাবে এবং নারী, যুবক ও সংখ্যালঘু সহ সকল আফগানদের অধিকার রক্ষার একটি সমঝোতার জন্য প্রচেষ্টা করবে। তিনি ১১ : ২৫ মিনিটে বক্তব্য দিয়েছেন।

আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পাম্পেও বলেছেন – আফগান তালেবান ও আফগান সরকার কখনও একা নয়। পুরো বিশ্বই তাদের সাথে রয়েছে। তিনি বলেন – “আপনারা যখন সিদ্ধান্ত নেবেন, আপনার মনে রাখা উচিত যে আপনাদের সিদ্ধান্ত ও আচরণ ভবিষ্যতের মার্কিন সহায়তার আকার এবং সুযোগ উভয়কেই প্রভাবিত করবে। আমাদের আশা আপনারা একটি টেকসই শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে পারেন এবং আমাদের লক্ষ্য একটি স্থায়ী অংশীদারিত্ব। তিনি ১১ :১৬ মিনিটে ভাষণ শুরু করেছেন।

আফগানিস্তানের বহুল প্রতিক্ষিত আন্তঃ-আফগান আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি আজ কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে আফগানিস্তান, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার রাজনীতিবিদরা অংশ নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন