

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মায়ানমার সেনাবাহিনীর হাত থেকে মুসলিম নারীরা তো বটেই এমনটি বৌদ্ধ নারীরাও ‘গণধর্ষণ’ থেকে রেহাই পায়নি।
সম্প্রতি মায়ানমারে একজন বৌদ্ধ রাখাইন নারীকে তিনজন সেনাসদস্য মিলে গণধর্ষণ করার অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে মায়ানমার সেনাবাহিনী। দীর্ঘ দুই মাস ধরে অনবরত বিষয়টি অস্বীকার করার পর অবশেষে তারা ধর্ষণের অভিযোগটি স্বীকার করেছে।
৩৭ বছর বয়সি ওই নারীকে গণধর্ষণের পর তারা তার ১৯ বছর বয়সী এক মেয়েকেও ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন তবে তিনি পালিয়ে যাওয়ায় বেঁচে গিয়েছিলেন।
গত জুনের শেষের দিকে রাখাইন নৃগোষ্ঠীর ৩৭ বছর বয়সী ওই বৌদ্ধ মহিলাকে তিনজন সেনাসদস্য মিলে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজ্যের রাজধানী সিটভিতে একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
মিলিটারির ট্রু নিউজ ইনফর্মেশন টিম অবশ্য ২ জুলাইয়ের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে অভিযুক্ত সৈনিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে মামলাটি বানোয়াট বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে এই সপ্তাহে এই দলের মুখপাত্র জাও মিন তুন স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ওই তিনজন সেনা সদস্য দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে তারা ধর্ষণ করেছে।
স্থানীয় দৈনিক দ্য মিয়ানমার টাইমসের বরাত দিয়ে জাও মিন তুন উদ্ধৃত করে বলেছেন, “সামরিক আদালত ১৯৫৯ সালে প্রতিরক্ষা পরিষেবা আইনের অধীনে এবং বেসামরিক আইনের আওতায় তিন সেনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
তিনি কীভাবে এবং কখন সৈন্যদের বেসামরিক আদালতে স্থানান্তরিত করবেন তা বিশদভাবে জানাননি।
ধর্ষিতা ওই নারী যিনি চার সন্তানের জননী তাকে গত ২৯ শে জুন রাতে বন্দুকের তাক করে তিন সৈন্য মিলে ধর্ষণ করেছিলো।
সাক্ষ্য অনুসারে, সৈন্যরা তাকে ২০,০০০ মিয়ানমার কায়াট (প্রায় ১৫ ডলার) দিয়েছিল এবং পুলিশকে এই খবর না দেওয়ার জন্য তাকে হুমকি করেছিল। সূত্র : আনাদুলু