

ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েল চলতি বছরের আগস্ট মাসে তিন জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং আরও ৮৫ জন নাগরিক আহত করেছে।
হামাসের জারিকৃত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল ইসলাম ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে দ্বিগুণ সীমা লঙ্ঘন করেছে এবং ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনকারীদেরকে আল আকসা মসজিদে আরও বেশি অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দখলদার রাষ্ট্রটি ১ হাজার ৭৪৩ টি নৃশংসতা ঘটিয়েছে। ৩৮০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে এবং ৮৫ জন নাগরিককে আহত করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ইবাদাতের স্থান ও মাজারে ২৪ টি হামলা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান ও প্রথম কিবলা আল আকসা মসজিদে ১ হাজার ৫৯৯ জন উগ্রবাদী হামলা চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ লুন্ঠন-নীতি ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে। আল-আকসা মসজিদের পাহারাদারসহ ১৪ জন ফিলিস্তিনিকে পবিত্র মসজিদ এবং শহর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ইসরায়েল সেনারা আগস্টে ৪৭৯ টি চেকপয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে।
ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনা ও বসতি স্থাপনকরা ইহুদিদের গুলিবর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৭ জন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জেরুজালেমে ৩১৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ১৩টি বিলিব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত এক মাসে মোট ৪৪ টি বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা। দখলদার রাষ্ট্রটি ৫২টি কৃষি ও বাণিজ্যিক ভবন ভেঙে ফেলেছে এবং 8টি কোম্পানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বেথলেহেম, জেরুজালেম এবং হেব্রন আগস্ট মাসে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের সীমা লঙ্ঘনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির আওতায় অধিকৃত পশ্চিম তীরের আরও ভূমি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েল স্থগিত করবে বলে জানানো হলেও সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বরং এই চুক্তির পরই ফিলিস্তিনে নৃশংসতা বেড়েছে। ফিলিস্তিনের জনগণ এই চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে এই অব্যাহতভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
কুদস নিউজ অবলম্বনে ইসমাঈল আযহার
আই.এ/