ভারত চায় না আফগানিস্তানে শান্তি ফিরুক : ইমরান খান

প্রকাশিত: ৪:০৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০

আফগান সরকার কর্তৃক তালেবান বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পর যখনই কাতারের দোহায় আন্তঃ-আফগান আলোচনা শুরুর আশা নতুন করে গতি বাড়িয়েছে তখন আল-জাজিরা টিভিতে এক সাক্ষাতকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে আফগানিস্তানে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

আন্ত-আফগান শান্তি আলোচনা সম্পর্কে ইমরান খান বলেন – “এটি একটি অলৌকিক ঘটনা হয়েছে। আমরা প্রার্থনা করি যে এটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হোক। একই সাথে আমরা বুঝতে পারি যে সেখানে হিংসাবাতীরা রয়েছে। আমি আশঙ্কা করছি অবশ্যই একটি দেশ আছে – ভারত – যারা চায় না আফগানিস্তানে শান্তি ফিরুক।

অপরদিকে আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা সকল তালেবান বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে দেশটির আশরাফ ঘানি নেতৃত্বাধিন সরকার।

আফগান সরকারের জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের (এনএসসি) মুখপাত্র জাভিদ ফয়সাল বৃহস্পতিবার তালেবান বন্দীদের মুক্তি সম্পূর্ণ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে এ ক্ষেত্রে ফ্রান্সসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি অঙ্গনের দাবিতে ৭ জনের মতো বন্দি এখনও রয়ে গেছে। তবে তাদেরকেও কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শান্তি আলোচনার সময় হস্তান্তর করা হতে পারে।এই সাতজনের প্রতি গুরুতর অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়েছিলো। তাছাড়ার এই তালেবানদের একা একা রাখা হয়েছিল।

গত বুধবার একটি সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে গত দু’দিনে প্রায় ২০০ জন তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আফগান সরকার তালেবানদের দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে পাঁচ হাজার জনের মধ্যে ৪,৯৯৩ জন তালিবানকে মুক্তি দিয়েছে। বাকি থাকা সাতজন বিষয়ে কয়েকটি অংশীদার দেশের ইস্যু রয়েছে। ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়া উভয়ই প্রকাশ্যে আফগান সরকারকে তাদের নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করা কয়েকজন তালেবান বন্দীদের মুক্তি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।

অপরদিকে তালেবানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স যে সাতজন তালেবান বন্দিকে নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে তাদেরকে কাতারে স্থানান্তরিত করা হবে যেখানে তাদের তদারকির অধীনে রাখা হবে।

এদিকে তালেবানদের সকল বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পর আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনার দিকেই এখন বিশ্বের নজর।

এ বিষয়ে জাভিদ ফয়সাল বলেছিলেন, “কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। আমরা আশা করি সরাসরি শান্তি আলোচনা অবিলম্বে শুরু হবে।

শান্তি আলোচনার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে তালেবান প্রতিনিধিদের ভ্রমণ পরিকল্পনা শুক্রবার পর্যন্ত পিছিয়েছে। তবে দু একদিনের মধ্যেই উভয় দল কাতারে যাবে এবং ঐতিহাসিক এক ঘটনার সৃষ্টি হবে।

অপরদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে – কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, আফগানিস্তানের জাতীয় পুনর্মিলন হাই কাউন্সিলের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি আন্তঃ-আফগান আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

মন্তব্য করুন