মোবাইল কোর্টের হুমকি দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর: জাফরুল্লাহ

প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টারের অনুমোদন নেই জানিয়ে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল)। পাশাপাশি এটাও বলে দিয়েছেন যে, এসব সুবিধা চালু করতে হলে আলাদা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে হবে। নয়তো পরবর্তীতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্লাজমা সেন্টার ও আরটি-পিসিআর পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে গত ১২ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক বরাবর ইমেইল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। গতকালও চিঠি দেয়া হয়েছে, সেটিরও উত্তর পাইনি।

ইমেইল ও চিঠির জবাব না দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পরিচালক ডা. বদরুল হককে ফোন দিয়ে বলেছেন, অনুমোদন না থাকায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষা, ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার বন্ধ করতে হবে। নয়তো পরবর্তীতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এসব সুবিধা চালু করতে হলে আলাদা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে হবে, যোগ করেন তিনি।

প্রশ্ন রেখে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, একটা স্বাধীন দেশে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া যাবে না কেন? অনুমোদনের জন্য লিখিতভাবে চিঠি দেয়ার পরও সেটির জবাব না দিয়ে উল্টো মোবাইল কোর্টের হুমকি দিচ্ছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, আধুনিক ভবন, অত্যাধুনিক মেডিকেল সরঞ্জাম, দক্ষ-অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের সামর্থ্য দিয়ে মহামারিকালে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে চাচ্ছি। আর এই সেবা সঠিকভাবে দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এগিয়ে এসে সহায়তা করার কথা। কিন্তু তারা সেটা না করে উল্টো ল্যাব বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজ হতে পারে না।

মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পর নিয়ম-কানুন মেনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা কোনো চুরি-বাটপারির জায়গা নয় এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কোনো ধরনের খারাপ কিছু করছে না কিংবা মানুষের সঙ্গে প্রতারণাও করছে না। এখান থেকে সাধারণ মানুষরা প্রায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন।

তবে নির্দেশনার পরও ল্যাব বন্ধ করবেন না জানিয়ে এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, এখানে যারা আসবেন, তাদের সেবা দেয়া হবে। যারা প্লাজমা দিতে আসবেন, তাদেরটা নেয়া হবে। আর যারা প্লাজমা নিতে আসবেন তাদেরকে দেয়া হবে। তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টির দ্রুত অনুমোদন দেবে বলে আশা করছি।

এমএম/

মন্তব্য করুন