

সৌদি আরবে অনেক দিন ধরেই চলছে ‘কথিত’ দুর্নীতিবিরোধী অভিযান। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর এই অভিযানের অংশ হিসেবে এবার বরখাস্ত করা হলো শীর্ষ দুজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাসহ আরও বেশ কয়েকজনকে।
শীর্ষ ওই দুই কর্মকর্তা রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা লাভের পর সুগম করতেই এই বরখাস্তের ঘটনা।
বার্তাসংস্থা এএফপি ও বিবিসির প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বরখাস্তের ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। বরখাস্ত করা হয়েছে ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর কমান্ডার প্রিন্স ফাহাদ বিন তুরকিকে।
দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ফাহাদের ছেলে ডেপুটি গভর্নর আবদুল আজিজ বিন ফাহাদকেও। যাদেরকে দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ। তবে বিশ্লেষকরা বরবরই কথিত এই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন।
তারা বলছেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তার ক্ষমতা সংহত করার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করছেন এই দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আড়ালে। এর আগেও কয়েক দফায় অভিযানের নামে রাজপরিবারের সদস্য, মন্ত্রী, ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়েছে।
বাবা সালমানকে দিয়ে এসব আদেশ জারি করাচ্ছেন ছেলে বিন সালমান, এমনটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি তার পথের কাঁটা দূর করতে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে।
আই.এ/