আল আযহারের ফতোয়া বোর্ড ‘দখলের পথ’ থেকে পিছু হটলো মিশর সরকার

প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২০

মিশরের কেন্দ্রীয় দারুল ইফতাকে আল আযহার ইউনিভার্সিটির অধিন থেকে সরকারের অধিনে নেওয়া ও বিশ্বে সমাদৃত এই ফতোয়াবোর্ডকে আরও বেশ কিছু সংস্কার করার নিমিত্তে ‘ফতোয়া বোর্ড সংস্কার বিল ২০২০’ সংসদে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মিশরের সরকার।

আল আযহারের গ্রান্ড ইমাম শাইখুল আযহার ডঃ আহমদ তাইয়িব বিল উত্থাপনের দিন সরাসরি সংসদে উপস্থিত হয়ে ভাষণ দেয়ার দাবি জানানোর পর এই সিদ্ধান্ত জানান দেশটির স্পিকার। যদিও ফতোয়া বোর্ড সংস্কারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মিশরের স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ মোহাম্মদ আল সিসি।

জানা যায় – মিশরের ধর্ম-মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি কিছুদিন পূর্বে “দারুল ইফতা আইন সংস্কার বিল ২০২০ ” নামে এক‌টি প্রস্তাব সংসদে পাঠায়। এতে দারুল ইফতাকে আযহারের পরিবর্তে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার সুপারিশ করা হয়। যার ফলে কেন্দ্রীয় মুফতী নির্বাচনসহ অন্যান্য বিষয়ে আল আযহারের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না।

বিলটি সংসদে উঠার পর থেকেই আযহারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়ঃ সংবিধানের ৭ম ধারা অনুযায়ী আল আযহার “ধর্মীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একমাত্র প্রতিষ্ঠান” হিসাবে স্বীকৃত। তাই দারুল ইফতাকে বিচ্ছিন্ন করা এক‌টি “সমকক্ষ” প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিবে যা সংবিধান বিরোধী।

কিন্তু আল আযহারসহ বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদ স্বত্ত্বেও গত সোমবার বিলের উপর চূড়ান্ত ভোটাভুটির তারিখ ঘোষণা করা হয়। তখন শাইখুল আযহার স্বয়ং সংসদে উপস্থিত হওয়ার ঘোষণা দেন। এতে উর্ধ্বতন মহলে অস্বস্তি দেখা দেয় এবং সবশেষে পর্যালোচনার নামে বিলটি ফেরত পাঠান স্পিকার।

শাইখুল আযহারের বিপ্লবী ভূমিকার ফলে মিশরের ধর্মীয় অংগনে বিশৃঙ্খলা ও অনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার এক‌টি চক্রান্ত নস্যাৎ হলো, যার সুফল আরও বহুদিন ভোগ করবে মিশরসহ পুরো মুসলিম বিশ্ব এমনটাই ধারণা মিশরের বিশেষজ্ঞমহলের।

মন্তব্য করুন