

অবশেষে জল্পনার অবসান। চিনের তৈরি টিকা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে বাংলাদেশে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই টিকা কার্যকরী বলেই চিনের দাবি। বিবিসি জানাচ্ছে, ঢাকায় চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনা কোম্পানিকে দিয়ে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমরা ট্রায়াল চালাতে দেব। কিন্তু ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেসব দেশ পাবে তার ওপরের দিকেই বাংলাদেশের নাম থাকতে হবে। আর এই সংক্রান্ত খরচও তারা বহন করবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু ৪ হাজার পার করেছে। সংক্রমণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয়স্থানে। চিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন ভ্যাকসিন যারাই করুক ট্রায়াল এখানে করতে তো দিতেই হবে এবং ভ্যাকসিনের বিষয়ে সব প্রস্তাব বা অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশের জন্য একটি ভ্যাকসিন খুবই দরকার কারণ বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ।
এত দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সবকিছু বন্ধ রেখে মানুষকে ঘরে রাখা খুবই সমস্যার একটি বিষয়। কারণ জীবন টিকিয়ে রাখতে হলে জীবিকাও লাগবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ থেকে কবে এই ভাইরাস চলে যাবে সেটাতো বলা মুশকিল। সংক্রমণ যদি দীর্ঘ দিনের জন্য থাকে তাহলে ভ্যাকসিন দিয়ে যদি এর সংক্রমণে একটা হস্তক্ষেপ করতে পারা যায় তাহলে কিছু জনগোষ্ঠী অন্তত নিরাপদে থাকতে পারলো। কলকাতা ২৪/৭।
এমএম/পাবলিকভয়েস