শাহেদের ৪৩ অ্যাকাউন্টে ৯২ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২০

কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে একের পর এক সাপ বেরিয়ে আসছে। রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনুসন্ধানে তার যে পরিমাণ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং সেগুলোতে যে পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয়েছে তাতে করে এবার তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নামে-বেনামে শাহেদের ৪৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট! এমন প্রতিষ্ঠানের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেগুলোর অস্তিত্ব নেই। অথচ প্রতিষ্ঠানের ভুয়া পরিচিতি এবং ঠিকানা দিয়ে নিজেকে ওইসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ইতোমধ্যেই তুলে নেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আলাদা আলাদা হিসেব। সিআইডির তথ্য মতে, গত ৫ বছরে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে শাহেদ করিম আত্মসাৎ করেছেন ১১ কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এছাড়া শুধু করোনার ভুয়া পরীক্ষা এবং জাল সনদ প্রদান করে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।

এসব তথ্য উদঘাটনের পর এবার পুলিশের তদন্ত বিভাগ তথা সিআইডি শাহেদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে নতুন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, শিগগিরই মামলাটি করা হবে উত্তরা পশ্চিম থানায়।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন