

পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন র্যাবে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ। এর আগে শুরুতে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমদ।
এ বিষয়ে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নতুন নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম একজন মেধা সম্পন্ন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা। এর আগেও তিনি বেশকিছু চাঞ্চল্যকর মামলার আইও হিসেবে সুনাম ও সফলতা অর্জন করেছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্ত বরখাস্ত হওয়া চার পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া এবং সন্দেহজনক তিন অভিযুক্ত টেকনাফের বাহারছরার মারিশবনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছকে নতুন আইও খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে শুক্রবার সকালে জেলা কারাগার থেকে রিমান্ডের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের ব্যাপারে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমদ বলেন, কিছু সমস্যার কারণে সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কী সমস্যা সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি।
এর আগে গত ৮ ও ৯ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার ফটকে চার অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান তদন্ত কর্মকর্তারা। সেই প্রেক্ষিতে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। গত ১২ আগস্ট শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তামান্না ফারাহ।
এমএম/পাবলিকভয়েস