

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টি সৃষ্ট দুর্ঘটনায় উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাকতুনখোয়া প্রদেশে ১৯ জন; পাঞ্জাবে ৮, সিন্ধ প্রদেশে ১২ এবং গিলগিট বালুচিস্তানে ১০ জন মারা গেছে। সিন্ধ প্রদেশে বৃষ্টিতে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বার্তা সংস্থা আল জাজিরা এখবর দিয়েছে।
রবিবার (৯ আগস্ট) সেখানে নৌকায় করে সেনা পৌঁছেছে। তারা বন্যা বকলিত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। প্রতি বছর অনেক শহরকে বন্যার সঙ্গে লড়তে হয়। সরকারের দুর্বল পরিকল্পনা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। দেশটিতে সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমী বৃষ্টিপাত হয়। নদীর পানি উপচে পড়ে। তীরের ফসল ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়।
প্রবল বর্ষণে বালুচিস্তানে অনেক ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের মুখপাত্র ইউনূস আজিজ মেঙ্গাল। তিনি বলেন, বন্যায় অনেক সড়ক ও সেতুর ক্ষতি হয়েছে। আরব সাগরের তীরের গাওদার শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে দেশটিতে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। রোববার পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছিলো।
পূর্বাঞ্চলীয় লাহোর শহরের অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। করাচিসহ বিভিন্ন শহরের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনাবাহিনীকে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Hoardings can be dangerous 😱#KarachiRain #Karachi pic.twitter.com/imlPqV12w7
— Danyal Gilani (@DanyalGilani) August 7, 2020
আই.এ/