

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রথমদিকে উন্নয়ন কাজে কিছুটা বাধা এলেও বর্তমানে বিভিন্ন চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি ফিরেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার নিজ সরকারি বাসভবন থেকে এক অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তায় চলমান উন্নয়ন প্রবাহ ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সচেষ্ট। এটি একটি ধারাবাহিক এবং চলমান প্রক্রিয়া। করোনার কারণে গত দুই-তিন মাসে কিছু প্রকল্পের কাজ সীমিত আকারে হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি এখন সব কাজ পুরোদমে চলছে।
তিনি বলেন, শত প্রতিকূলতার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল রুট-৬, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যে ৩১টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে ৪ হাজার ৬৫০ মিটার। ৩০ জুন পর্যন্ত মূল সেতুর শতকরা ৮৯ ভাগ এবং নদীশাসন কাজ শেষ হয়েছে শতকরা ৭৩ ভাগ। প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৮০. ৫০ শতাংশ।
জাইকার অর্থায়নে নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেল রুট-৬-এর কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা শেষে কাজে নিয়োজিত করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে এবং স্থাপন করা হয়েছে রেললাইন। দুটি ফিল্ড হাসপাতালের নির্মাণকাজও এগিয়ে চলেছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে জাপানের কারখানায় একসেট ট্রেনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো চার সেট নির্মিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সমুদ্রপথে ট্রেনগুলো নিয়ে আসা হবে। স্টেশনের নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরোদমে এখন কাজ এগোচ্ছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তল দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও নদীর খনন কাজ থামেনি। এরই মধ্যে ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টিউবের ২.৩ কিলোমিটার খনন শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির শতকরা ৫৬ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ, কক্সবাজারের মাতারবাড়ি সংযোগ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ, গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ এবং ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত জানান মন্ত্রী।
এমএম/পাবলিকভয়েস