

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। তবে এখন থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে ফি চালুর ব্যবস্থা (অর্থ বিভাগের সম্মতি-সাপেক্ষে) সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল অনুবিভাগ থেকে পেশ করা হয়েছে।
অর্থাৎ প্রস্তাবটি পাশ হলে নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত অংকের টাকা ফি-বাবদ গুনতে হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকেও সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
জানা গেছে, বর্তমানে ব্যয়বহুল এ পরীক্ষা সরকারি খরচে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করার ফলে এটির অনেক অপব্যবহার হচ্ছে। আর তা রোধ করতেই মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সরকারি খরচে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরীক্ষার ফলে বিপুল অংকের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনেক নমুনা পরীক্ষার ফলে অপব্যবহার বেশি হচ্ছে। তা কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত।
এর আগে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমদিকে শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) নমুনা পরীক্ষা করা হতো।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ৬৬টি সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। সংখ্যাটা আরো বাড়বে।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ছয় লাখ ৯৬ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার অধিকাংশই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩ হাজার ৫০০ টাকা ফি-তে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এমএম/পাবলিকভয়েস