শেষ পর্যন্ত অনুমোদন পেলোই না গণস্বাস্থ্যের করোনা কিট
বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে


গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেডের উদ্ভাবিত বহুল আলোচিত করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের (জিআর কভিড-১৯ রেপিড অ্যান্টিবডি ডট ব্লট) অনুমতি মেলেনি সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে।
আজ বৃহস্পতিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে। এরপর বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দেশের এই জরুরি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কারিগরি কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেনি এবং জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের নিবন্ধন প্রদান করেনি।’
প্রায় এক মাস ধরে গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শেষে গত ১৬ জুন ওষুধ প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় বিএসএমএমইউ। এর ৯ দিন পর আজ ওষুধ প্রশাসন জানাল গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিট কার্যকরী নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা শনাক্তে র্যাপিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবনের পর ২৬ এপ্রিল তা হস্তান্তরের আয়োজন করে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি), সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান তা গ্রহণ করতে যায়নি।
এই কিটের অনুমোদন দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের ওষুধ প্রশাসন। তখন তারা বলেছে, সিআরও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (মধ্যস্বত্বভোগী) কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার পর তা তারা অনুমোদন দেবে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২১ জুন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ ভেক্সিন ও মেডিক্যাল ডিভাইস সংক্রান্ত কমিটির একটি সভা হয়। পরে একই কমিটি ২৩ জুনও বৈঠক করে। দুদিনের এই বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় আর্ন্তজাতিক গাইডলাইনের আলোকে র্যাপিড টেস্ট কিটের সেনিসিভিটির সর্বনম্নিমাত্রা ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এদিকে ২১ জনই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদের উদ্ভাবিত কিটের অনুমোদন দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। এর আলোকে গতকাল গণস্বাস্থ্যকে জানানো হয়েছে তাদের র্যাপিড টেস্ট কিটের সেনিসিভিটির সর্বনম্নিমাত্রা ৯০ শতাংশ নেই, আছে ৬৯.৭ শতাংশ। ফলে এই কিটের অনুমোদন দেওয়া গেল না।
যদিও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, যদি এই কিটের উন্নয়ন করে নির্ধারিত মাত্রায় নেওয়া হয় তবে বিষয়টি আবার বিবেচনা করা যাবে।
#আরআর/পাবলিক ভয়েস