
যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ব্রাজিলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নতুন করে রেকর্ড সংখ্যক ৫৪ হাজার ৭৭১ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ব্রাজিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ লাখ ৩২ হাজার ৯১৩।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৮ এপ্রিল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এর দুই মাসেরও কম সময়ের মাথায় ব্রাজিলও মিলিয়নের ঘরে পৌঁছালো।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২০৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৮ হাজার ৯৫৪। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় চাপ পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর। ইতোমধ্যেই দেশটির বৃহত্তম শহর সাও পাওলো-র স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ব্রুনো কোভাস।
তিনি জানান, হাসপাতালগুলোতে বেডের চাহিদা বাড়ছে। পুরো স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পতনের মুখে দাঁড়িয়েছে। সরকারি হাসপাতালের ৯০ শতাংশই এখন পরিপূর্ণ। সাও পাওলো ব্রাজিলের অন্যতম করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা। সেখানে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে করোনা পরীক্ষার হার কম। এজন্য বাস্তবতার চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হচ্ছে। যথাযথ পরীক্ষা হলে আরও অনেক বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হতো। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের অর্থনীতি ফের সচল করতে মরিয়া ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহারে ব্যাপক আগ্রহী ট্রাম্পের এই ব্রাজিলিয়ান ভক্ত। তার নীতির কারণে বিদ্যমান করোনা মহামারির মধ্যেই মন্ত্রিসভা ছেড়েছেন অন্তত দুই জন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে।
চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস

