

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র জানতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে আসছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। সরকারও সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে, তবে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কাঙ্খিত হারে বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধীরে হলেও প্রতিদিনই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা করে বাড়ছে। তবে এবার আর ধীরে নয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষা ১ লাখে নিয়ে যেতে চাই।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস হঠাৎ আসা একটি অভিঘাত। সব দেশই এর আঘাতে প্রথমদিকে অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। ল্যাব নির্মাণ করা, জনবল নিয়োগ, ইন্সট্রুমেন্ট জোগাড় করাসহ নানা কাজে একটু সময় লেগে যায়। তাই শুরুর দিকে খুব বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন আমরা খুব দ্রুতই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে পারবো।
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দৈনিক ১ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করতে হলে র্যাপিড টেস্ট কিট কিংবা মুহূর্তের মধ্যেই ফলাফল জানা যায়, এমন অন্য কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। আমরা তেমন প্রস্তুতিই নিচ্ছি। সেটা সম্ভব হলে প্রান্তিক এলাকায়ও পরীক্ষার ব্যবস্থাটা ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।
আমরা যখন সর্বোচ্চ পরিমাণে নমুনা পরীক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তখন অনেকেই একাধিকবার টেস্ট করছেন। এটা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটা বাধা। আমরা অনুরোধ করেছিলাম, কেউ এই কাজটা করবেন না। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে আমরা এটা শনাক্ত করা চেষ্টাও করছি, কিন্তু অনেকে একবার পরীক্ষার পর ভিন্ন নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আবার পরীক্ষা করান।
এমএম/পাবলিকভয়েস