

হজ নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে সারা পৃথিবীর মুসলমানদের যেমন একটা চাপ আছে, তেমনি সৌদি আরব নিজেও প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে একটা পরিষ্কার সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে। দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেকেই এ বছর হজ বাতিল করার পক্ষে। তবে সবদিক বিবেচনায় করোনাভাইরাসের টালমাটাল অবস্থার মধ্যেও সীমিত আকারে হজ আয়োজনের প্রাথমিক পরিকল্পনা করছে সৌদি সরকার। প্রতিটি দেশ থেকে নির্দিষ্ট কোটার ২০ শতাংশ মুসল্লিকে বিশেষ ব্যবস্থায় উড়িয়ে নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার সৌদি আরবের হজ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতে কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এ বছরের হজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। দফায় দফায় বৈঠক করেও তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছিলেন না। বিশেষজ্ঞরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান, এক দল হজ অনুষ্ঠানের পক্ষে, আরেক দল বিপক্ষে।
দুদিন আগেই সৌদি আরবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেছে লাখের কোটা। তার পরপরই মারা গেছেন একজন প্রিন্স। এছাড়া মক্কার প্রবেশ পথ জেদ্দায় চলছে কারফিউ। এসব বিবেচনায় হজ বাতিল করার পক্ষে মত অনেকের। কিন্তু আরেকটি দলের যুক্তি, হজ বাতিল হলে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিশ্ব মুসলমানের ওপর। সেক্ষেত্রে সীমিত আকারে হলেও হজ অনুষ্ঠিত হতে হবে। বাদশাহর পক্ষ থেকেও হজ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ আছে বলে জানা যায়।
আগামী জুলাই মাসের শেষাশেষি এ বছরের হজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ২৫ লাখেরও বেশি মুসল্লির হজ আদায় করার কথা এ বছর। কিন্তু সীমিত আকারে এক ধরনের প্রতীকী হজ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। তাই প্রত্যেক দেশে হজের জন্য নিবন্ধন করা মানুষের মধ্য থেকে মাত্র ২০ শতাংশকে এই সুযোগ দিতে চায় সরকার। এছাড়া সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার পাশাপাশি কোনো বৃদ্ধকে এ বছর হজের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
এমএম/পাবলিকভয়েস