

মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে অক্সিজেনের পাশপাশি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে রাখা হয়েছে ভয়েস রেস্টে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন এবং গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার আজ সোমবার এসব তথ্য জানান।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘স্যারের ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ কারণে তাকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও দেওয়া হয়েছে তাকে। তার খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণও কমে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি এখনো পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন।’
তিনি আরো জানান, আগে স্যারের সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করা হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চিকিৎসকরা প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে, ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার জানান, ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি সচেতন আছেন। তাকে এখন ভয়েস রেস্টে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ জুন ডা. জাফরুল্লাহর ডায়ালাইসিস করতে গেলে শারীরিক অবস্থার কারণে তা সম্পন্ন করা যায়নি। ফলে ওইদিন তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয় এবং ওইদিন তার শারীরিক অবস্থা অনেকটা খারাপ ছিল।
পরে গত ৫ জুন ডা. জাফরুল্লাহকে সারাদিনই অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। সেইসঙ্গে ওই দিন রাতে তৃতীয়বারের মতো তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়। পাশাপাশি কিডনির ডায়ালাইসিসও সফল হয়। এ অবস্থায় গত শনিবার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। ওইদিনও তার ডায়ালাইসিস হয়েছে।
গত ২৫ মে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। পরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পিসিআর টেস্ট করালেও একই রেজাল্ট আসে। গত ২৬ মে তিনি প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেন।
ডা. জাফরুল্লাহর করোনা শনাক্তের পর টেস্ট করানো হলে তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনা ধরা পড়ে।
নিজের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ ও অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এমএম/পাবলিকভয়েস