

পাকিস্তানের লাহোরে দেশটির আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে পাইলট, ক্রসহ আনুমানিক শতাধিক লোক ছিলো যাদের সবাই মারা গেছে।
পাকিস্তানের উর্দূ দৈনিক ডেইলি পাকিস্তান জানায়, লাহোর জিন্নাহ বিমানবন্দর থেকে পিআইএর জেট বিমান এ-৩২০ করাচি যাচ্ছিলো। করাচি বিমানবন্দরে অবতরণের কয়েক মূহুর্ত আগে বিমানবন্দরের কাছেই করাচি মডেল কলোনিতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৯৯জন যাত্রীই মারা যায় বলে পাকিস্তানের গণমাধ্যম উল্লেখ্য করেছে।
তবে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ডেইলি পাকিস্তান জানায়, ‘বেসরকারী টিভি চ্যানেল ‘২৪ নিউজ’ এর তথ্য অনুসারে, বিমানটিতে ৯৫জন যাত্রী ছিলেন। তবে এভিয়েশন পরামর্শদাতা বলেছেন সেখানে ৯৯ জন যাত্রী এবং ৭জন ক্রু সদস্য ছিলেন।
বিমান সংস্থা পিআই এর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, লাহোর থেকে করাচিতে আসা পিআইএর দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে ১০০জন যাত্রী ছিলেন।
এদিকে পাঞ্জাব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জাফর মাসউদ অলৌকিকভাবে বিমানের ধ্বংসাবশেষে বেঁচে গেছেন। প্রাথমিক চিকিত্সা শেষে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো কয়েকজন যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে কোনো কোনো গণমাধ্যমে।
পাকিস্তানের বিমান চলাচলকারী সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল্লাহ হাফিজ জানান, লাহোর থেকে ৯০ জন যাত্রী ও ৮ জন বিমান স্টাফ নিয়ে করাচির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বিমানটি। বিমানটি উদ্ধারের সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আপাতত এর থেকে বেশি কোনো তথ্য নেই আমাদের কাছে।
জানা যায়, দুপুর একটার সময় লাহোর থেকে যাত্রা করেছিল এবং করাচি বিমানবন্দরে দুই পঁয়তাল্লিশ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু বিমানটি নামার এক মিনিট আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জিও নিউজ জানায়, বিমানের অবতরণ যন্ত্রটি চালু হচ্ছিলো না। কন্ট্রোল টাওয়ার তাকে অন্য একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু কলোনির ওপরের দিক থেকে আরেকটি ডিটোরটি ফের অবতরণ করতে যাচ্ছিল, সেই সময় এটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।
বিমানটি আবাসিক কলোনির ঘরগুলির ছাদে আঘাত করে মাটিতে বপড়ে যায়। এতে দুটি বিল্ডিং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ গুল, ফার্স্ট অফিসার উসমান আজম ও ফরিদ আহমেদসহ নিহত স্টাফদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। আহত কয়েকজনকেও উদ্ধার করার চেষ্টা হচ্ছে।
/এসএস