দেশে শুরু হচ্ছে পরীক্ষামূলক প্লাজমা থেরাপি

প্রকাশিত: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, মে ১৫, ২০২০

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে ৪০-৮০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এবার বাংলাদেশেও প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখন হাতে যে পরিমাণ কিট আছে তা দিয়ে আগামী শনিবার থেকেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা যাবে। সে জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে নীতিগত অনুমোদন নেয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, আপাতত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা করোনা রোগীদের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। পরবর্তীতে আরো কয়েকটি হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সেন্টার হবে ঢাকা মেডিকেলেই।

কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের প্লাজমা দান করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দাতার শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহের জন্য যে বিশেষ কিটের প্রয়োজন হয়, সেটির দাম ১২ হাজার টাকা। তাছাড়া রক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণ জানতে যে কিট লাগে, সেগুলোর প্রতিটির দাম দেড় লাখ টাকা করে। একটি কিট দিয়ে ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়।

আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায় শুরু করতে ঢাকা মেডিকেলের নিজস্ব খরচে স্পেন থেকে চারটি কিট আনা হচ্ছে। পরবর্তীতে বড় আকারে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে গেলে সরকারের সহায়তা লাগবে। তাছাড়া চাইলেই কিন্তু ডোনারের কাছ থেকে কিটের খরচ নেয়া যায় না। আর তারা এই খরচ কেনোই বা দেবেন। সরকারকেই এগুলো সরবরাহ করতে হবে, যোগ করেন এই চিকিৎসক।

উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে মোকাবেলা করতে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির প্লাজমায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। পরে তা ভাইরাসটিকে আক্রমণ করে অসুস্থ রোগীদের সুস্থ করে তুলে। এক্ষেত্রে প্রথমে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রক্তের প্লাজমা সংগ্রহ করে ফ্রিজিং করে রাখতে হয়। তারপর যাদের অবস্থা খারাপের দিকে, তাদের শরীরে এই প্লাজমা প্রয়োগ করা হয়। এতে আস্তে আস্তে এই রোগীও সুস্থ হয়ে উঠে।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন