

ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে।
আজ সোমবার দুপুরে তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তিনি বর্তমানে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) মাহবুবর রহমান কচি সাংবাদিকদের জানান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন। তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ভর্তি হয়েছিলেন ইতিহাসবিদ ও ঢাবির অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। ভর্তির পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দিবাগত রাত ১টার দিকে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
এর আগে সকালে ওই হাসপাতালের করোনাবিষয়ক মুখপাত্র ও সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান কচি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করোনার উপসর্গ নিয়ে ১২ তলায় ১২০৭ নম্বর কেবিনে ভর্তি হয়েছিলেন। গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে তাঁর শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপর তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।’
মো. মাহবুবুর রহমান কচি বলেন, ‘এর আগে বাইরে তাঁর করোনাভাইরাস টেস্ট করানো হয়েছিল। সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।’
এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মা কুর্মিটোলা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।গত ১৮ এপ্রিল থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। একই সময় থেকে তিনিও অসুস্থতায় ভুগছেন।
প্রসঙ্গত : মুনতাসির মামুন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনে সম্পৃক্ত এই অধ্যাপক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যও দিয়েছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ডাকসুর প্রথম নির্বাচনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মুনতাসীর মামুন। একই সময়ে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় আর্কাইভসের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।