কাশ্মীরে বাড়ছে প্রতিরোধ : একমাসে মারা গেল ১১ ভারতীয় সেনা

প্রকাশিত: ১:২৫ পূর্বাহ্ণ, মে ৪, ২০২০

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গেরিলা বা হঠাত আক্রমন কার্যক্রম তৎপরতা বেড়েছে। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এপ্রিল মাসেই সেখানে অন্তত ১৭টি গেরিলা তৎপরতা চলেছে। যেখানে অন্তত ১১ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। একই সাথে ২৯ জন প্রতিরোধ যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

একই সাথে মে মাসও শুরু হয়েছে ভারতীয় বাহিনীর জন্য ভয়ানক হয়ে। গত পরশু কুপওয়ারা জেলার হান্ডওয়ারায় শুরু হওয়া প্রতিরোধে ভারতীয় একজন কর্নেল, একজন মেজরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। সাথে প্রতিরোধ যোদ্ধা গেরিলাদের মধ্য থেকে প্রাণ দিয়েছে একজন।

এক মাস সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা কাশ্মীরে গেরিলাদের ফাঁদে প্রাণ হারালেন ভারতীয় সেনা সদস্যদের একটি দুর্ধর্ষ দল। গত মাসের ৫ তারিখে কাশ্মীরে গেরিলা বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে ভারতীয় দুর্ধর্ষ কমান্ডো বাহিনী স্পেশাল ফোর্সেসের একটি দলের পাঁচ সদস্যের সবাই নিহত হয়েছিলেন।

পাশাপাশি কাশ্মিরী গেরিলা বাহিনীর একজন সম্ভাব্য পথনির্দেশকসহ পাঁচ জনের সবাই প্রাণ হারিয়েছেন বলেও দাবি তাদের। ২০১৬ সালে কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে অংশ নিয়েছিলেন এ পাঁচ কমান্ডোর সবাই।

এ ছাড়া, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারভানের কাশ্মীরে দুদিনের সফরের সময়ও সেখানে চার দফা গেরিলা হামলা হয়েছে। গত মাসের ১৯ তারিখে সন্ধ্যায় কাশ্মীরের উত্তর-পশ্চিম সোপোর এলাকার এক সামরিক চৌকিতে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্দুকধারী গুলি চালালে তিন সেনা নিহত এবং দুই সেনা আহত হয়েছেন। তবে আহত ভারতীয় সেনাদের অবস্থা কী তা খবরে উল্লেখ করা হয় নি। হামলাকারীরা নিরাপদে সটকে পড়তে সক্ষম হয়েছিল।

গত আগস্টের ৫ তারিখে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন আধা স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই কার্যত লকডাউনে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর।

কাশ্মীরে কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা প্রেরণের পাশাপাশি, কঠোর কারফিউ বলবত করেছে নয়াদিল্লি । টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা এবং স্বাধীনতাকামীদেরকে গ্রেফতার করে।

সাত দশক আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ হওয়ার পর নয়াদিল্লি কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে মোদী এবং তাঁর উগ্র হিন্দুবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিরোধিতা করছে। সূত্র : আল জাজিরা।

#আরআর/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন