
নামমাত্র কোয়োরেন্টিন আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। ফলাফল স্বরুপ ৩ দিনের মধ্যেই বাহিনীর ৫ সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস।
কর্তারা বলছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে করোনা মোকাবিলায়, কিন্তু বাস্তব অবস্থা কী ? কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে থাকা পুলিশ সদস্যরা কি দরকারি সুবিধা ও সুরক্ষা পাচ্ছেন? বাস্তবতা হচ্ছে করোনা ভয়ংকর রুপে চোখ রাঙ্গাচ্ছে পুলিশকে।
যারা মানুষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাদের সেবায় এমন আয়োজন! বলা হচ্ছে, শহরজুড়ে লাখো মানুষকে সচেতন করা এই সৈনিকেরা যদি বাসায় থাকেন আক্রান্ত হতে পারে তার পরিবার। তাই রাজধানীর অব্যবহৃত এমন ১৫টির বেশি আবাসিক হোটেল ঠিক করা হয়েছে তাদের থাকার জন্য।
উটকো গন্ধ, দম নেয়ার সুযোগ নেই। অস্বাস্থ্যকর টয়লেট, খাবার নিজে ব্যবস্থা করার নির্দেশ। এসব নিয়েই দিন কাটছে পরিবারের বাইরে থাকা মানুষগুলোর। এমনকি আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে হোটেলের কর্তৃপক্ষও হাওয়া। ভাড়া পেয়েই দায়শেষ তাদের।
সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অবস্থা খুবই নাজুক। আইসোলেশনে থাকা পুলিশের সবচেয়ে বেশি সদস্য আছেন এখানে। কড়া নিরাপত্তার সাথে নজরদারি। সবই ঠিক আছে। কিন্তু খাবারের নমুনা দেখে ধারণা পাওয়া যায়, কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সেবা পাচ্ছেন মানুষকে নিরাপদ রাখার ব্রত নেয়া মানুষগুলো।
পুলিশে মোট করোনা আক্রান্তের বড় অংশই ঢাকা মহানগরে। শনিবার পর্যন্ত মারা যাওয়া সবাই ডিএমপি সদস্য। এক দিনে সর্বোচ্চ ২৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন শনিবার পর্যন্ত। কোয়ারেন্টিনে সাড়ে ১২০০ সদস্য। রাজধানীর বড় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাখা হয়েছে কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত পুলিশদের। সদর দপ্তর বলছে, করোনা আক্রান্তদের সেবায় প্রয়োজনীয় সবই করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখস্ত বুলি আওড়ালেই হবে না। দুই লাখ সদস্যের পরিবারে মড়ক থামাতে দরকার বাস্তবসম্মত করোনা ব্যবস্থাপনা। পদ বিবেচনায় নয়, বাহিনীর কর্মী হিসেবে সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। সৌজন্যে চ্যানেল ২৪।
এমএম/পাবলিকভয়েস

