লকডাউন তিন মাস স্থায়ী হলে দারিদ্র্যতার হার দ্বিগুণ হবে

প্রকাশিত: ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২, ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি চলছে। ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতি যদি তিন মাস স্থায়ী হয়, তাহলে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

সংস্থাটি জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। গত দেড় দশকে সরকারের চেষ্টার কারণেই দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের হার এতটা কমে এসেছে। এখন করোনার কারণে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতি যদি তিন মাস স্থায়ী হয়, তাহলে দারিদ্র্যের হার ফের ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিয়ে তাদের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই লকডাউন যদি তিন মাস স্থায়ী হয়, তাহলে দেশের মানুষের আয় ২৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। নতুন করে দারিদ্রতার মুখোমুখি হবে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ। এতে করে দারিদ্র্যের হার ৪০ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাবে।

গবেষণায় আরো বলা হয়, লকডাউনের ফলে অধিকাংশ পরিবারের আয় ন্যূনতম এক-চতুর্থাংশ কমে যাবে। বিশেষ করে, ফসল উৎপাদন, গবাদিপশু লালন-পালন ও মাছ উৎপাদন খাতে কাজ করা মানুষদের ৪৩ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে নামতে পারে। এ ছাড়া পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের ১৬ শতাংশ, খুচরা ব্যবসার ১১ শতাংশ, যোগাযোগ ব্যবস্থার ১০ শতাংশ এবং নির্মাণ খাতের ৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্রতার মুখোমুখি হতে পারে।

দেশের মোট ৪০টি জেলায় দারিদ্র্যতার হার সবচেয়ে বেশি হবে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাঙামাটি। জেলাটিতে নতুন করে ৩০.৯ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নামতে পারে।

এ ছাড়া ময়মনসিংহে ৩০.২ শতাংশ, সুনামগঞ্জে ২৮.৭ শতাংশ, কক্সবাজারে ২৭.৫ শতাংশ, নীলফামারিতে ২৭.২ শতাংশ, নড়াইলে ২৭.২ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৬.৯ শতাংশ, নেত্রকোনায় ২৫.৯ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গায় ২৫.৮ শতাংশ, শেরপুরে ২৫.৬ শতাংশ, বরগুনায় ২৫.৫ শতাংশ এবং শরীয়তপুরে ২৫.৩ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হতে পারে।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন