

বাসস : মহান মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এ সংকট শীঘ্রই কেটে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আমি ধৈর্য্য ও সাহসের সাথে সকলকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে একযোগে পরিস্থিতি মোকাবিলার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
সরকার শ্রমিকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমি সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিকগণকেও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ধৈর্য্য ও সাহসের সাথে সকলকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে একযোগে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল থাবা আঘাত এনেছে। এর ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণকাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।’
মহান মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো শ্রম নিবিড় উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও হৃদ্যতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হতে হবে। এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি দেশের উন্নয়নের পথকে ত্বরান্বিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষই হচ্ছে দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা ‘রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১’ বাস্তবায়নে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সমান্তরালে বাড়ছে শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানার সংখ্যা। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ। দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসব শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরী প্রদান, দক্ষতাবৃদ্ধি, সুন্দর ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ, পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ সার্বিক কল্যাণসাধন খুবই জরুরি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার এ লক্ষ্যে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ, শিশুশ্রম বন্ধ, নারী শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ শ্রমিকের স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বাণীতে তিনি শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে এ প্রত্যাশা করেন।
লকডাউনে বন্দি শ্রমিকদের মহান মে দিবস আজ
এখন সময় মালিক শ্রমিক একসাথে কাজ করার : মে দিবসে প্রধানমন্ত্রী
আরআর/পাবলিক ভয়েস