
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই দেশে পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় হাজার খানেক কারখানা চালু করা হয়েছে। বাকিগুলো আগামী ২ মে খোলা হবে। এমন অবস্থায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে ভাইরাসটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় শ্রমিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে দ্বিতীয় দফায় বড় ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কর্মক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
আইএলও’র মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চলমান সংকটে তাদের কীভাবে রক্ষা করছি তার ওপর নির্ভর করছে সমাজ কেমন থাকবে। পাশাপাশি মহামারির মধ্যে অর্থনীতির চাকা কীভাবে সচল থাকবে, তাও নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিতের মাধ্যমে শ্রমিক, তাদের পরিবার এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষা করা সম্ভব। একই সঙ্গে পেশাগত কাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে মহামারির মধ্যেও অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকা সম্ভব।
বিবৃতিতে শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপদে ফিরে আসা এবং কাজের ক্ষেত্রে বাধা এড়াতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি। সেগুলো হলো-
১) কাজের মধ্যে থাকা ঝুঁকিগুলো নির্ধারণ করা এবং কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসার পরও তা অব্যাহত রাখা।
২) ঝুঁকি কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। এ জন্য সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, কর্মক্ষেত্রে ভেন্টিলেশন উন্নত করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা।
৩) প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ করা।
৪) কারো মধ্যে যদি উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা করা। একই সঙ্গে ওই শ্রমিক কার কার সঙ্গে মিশেছে তা খুঁজে বের করা।
৫) শ্রমিকদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৬) সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিতে সবাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া।
এমএম/পাবলিকভয়েস

