

বাংলাদেশের আকাশে আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) ১৪৪১ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ রাতে সাহরী খাওয়ার মধ্য দিয়ে শনিবার থেকে শুরু হবে রোজা।
ইসালামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সূত্রে শুক্রবার সন্ধায় এ তথ্য জানা গেছে। বাইতুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক চলছে। বৈঠক শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে গণমাধ্যমে ব্রিফিং করবেন।
পেছনের আরো অনেক বছর এমন গেছে যে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিলো। মেঘলা আকাশে খালি চোখে চাঁদ দেখা যায়নি। এবারও অনেকটা সেরকমই হচ্ছে। বিকেল থেকেই আকাশ কাঁদছে। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে এখনো। আকাশ মেঘলা। কিন্তু অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের আকাশের চিত্রটা দেখতে একরকম হলেও অনুভবে ভিন্ন।
কারণ, করোনা বিপর্যস্ত বিশ্বে প্রভুর ঘরে গিয়ে সেজদা দিতে না পারার যন্ত্রণায় সারা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ের আকাশও মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ধর্মপরায়ণ মুসলমানদের হৃদয়ে চরমভাবে আঘাত হেনেছে মহামারী এই করোনাভাইরাস।
এরইমধ্যে ১৪৪১ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখার বা ঘোষণার অপেক্ষায় বাংলাদেশের সর্বস্তরের মুসলমান। যদিও অন্যান্যবারের মতো আনন্দচিত্তে দলবেঁধে তারাবীহ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়া যাবে না। যাই হোক, আজকে চাঁদ দেখা হয়তো কারো কারো জন্য সম্ভব হলেও অনেকের জন্যই অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে হলেও বাংলাদেশ সরকারের ধর্মমন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দিকে তাকিয়ে দেশবাসী।
প্রতিক্ষার অবসান শেষে শুক্রবার মাগরিবের পর চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। রমজানের চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাঙালির প্রথম নিরানন্দ রমজান উৎসব।
এদিকে চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচে রমজান শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যবাসী প্রথম রোজা রেখেছে।
তবে সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ার পর পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে স্বল্প পরিসরে ১০ রাকাত তারাবীর নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হারাম শরীফের ইমামদের পরিচালিত ফেসবুক পেজে এখবর জানানো হয়।
এর আগে, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশটির প্রধান দুই মসজিদসহ সে দেশের সব মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ ঘোষণা করেছিল সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। পরে রমজান উপলক্ষে শুধু মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে ১০ শর্তসাপেক্ষে ১০ রাকাত তারাবীহ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়।
মসজিদুল হারামে হারামাইনের প্রধান ইমাম শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইস এর ইমামতিতে প্রথম তারাবীহ শুরু হয় এবং মসজিদুন নববীতে তারাবীহ শুরু করেন শায়খ সাদ শুরাইম।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে হয়ে গেলো প্রথম তারাবীহ (ভিডিও)
এসএস