করোনাভাইরাস ও ইসরায়েলি অবরোধে চরম দুর্দিনে ফিলিস্তিনের ফুল চাষিরা

প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২০

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস নামক এলাকায় বসবাস করেন ফুল চাষি মাহের আবু দাক্কাহ। ৬ মাস অপেক্ষার পর তিনি উৎপাদনকৃত ফুলগুলো ফেলে দিয়েছেন এবং এখন তিনি মারাত্মক হতাশায় ভুগছেন।

আবু দাক্কাহ-এর ৬টি কৃষিজমি রয়েছে। এগুলোতে তিনি বিভিন্ন ধরণের ফুল চাষ করেন। করোনার কারণে এ বছর ফুল উত্পাদন পুরোপুরি হ্রাস পেয়েছে এবং আবু দাক্কাহ-সহ গাজার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।

 আবু দাক্কাহ  কুদস নিউজকে বলছিলেন, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ফুলের চাষ শুরু করেন। তিনি আশা করেছিলেন, বসন্ত এবং গ্রীষ্ম এলেই ফুলের চাহিদা বাড়বে এবং তিনি লাভ পেতে শুরু করবেন।করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা একটি বড় দুর্ভাগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আবু দাক্কাহ’র সব প্রচেষ্টা নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ফুলগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন গবাদি পশুর খাবার হিসেবে। ২০ মার্চ পর্যন্ত আবু দাক্কাহ-এর দৈনিক ৫০ হাজার ফুল নষ্ট হয়েছে। যার মুল্য প্রায় ৫০ হাজার ডালার। শুধু আবু দাক্কাহ নয় ফিলিস্তিনে ক্ষতির মুখে পড়েছে এমন হাজারও ফুল চাষি।

খবরে জানানো হয়, দখলদার ইসরাইল গাজার কৃষিক্ষেত্র সীমান্ত-সি ক্রসিং বন্ধ করার পর থেকে মারাত্মক  দুর্ভোগে পড়েছে সে দেশের ফুল চাষিরা। ২০১২ সালে দখলদার রাষ্ট্রটি ফুলচাষিদের ওপর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয নেদারল্যান্ডসে ফুল চাষিদের পণ্য রফতানিতে।

কুদস নিউজ থেকে অনুবাদ

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন