
কানাডায় এক বন্দুকধারী ডাক্তারের গুলিতে একজন নারী পুলিশ সদস্যসহ আরো অন্তত ১৬ জন বেসমারিক নাগরিক খুন হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পরে শনিবার রাত থেকে অবরুদ্ধ থাকার পর রোববার বেলা ১১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ৯টা) পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বন্দুকধারী।
স্থানয়ী গণমাধ্যম ‘ন্যাশনাল পোস্ট’ জানায়, শনিবার মধ্য রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত দন্তচিকিত্সক গ্যাব্রিয়েল ওয়ার্টম্যান (৫১) নামে এক ব্যক্তি পুলিশের পোশাক পড়ে উত্তর নোভা স্কটিয়ার রাস্তায় রাস্তায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে ১৭জনকে হত্যা করে।
ন্যাশনাল পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে ভয়াবহভাবে একজন ‘আরসিএমপি অফিসার’ (পুলিশ) নিহত হয়েছে। এঘটনায় আরো অনেকেই আহত হয়েছেন।
দেশটির ইংরেজি এ গণমাধ্যমটি এই ঘটনাকে কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে।
‘ন্যাশনাল পোস্ট’ জানায়, ১৯৮৯ সালে মন্ট্রিয়ালের ইকোল পলিটেক্নিকে ১৪ নিহতের ঘটনাকে ছাড়িয়ে গেছে এটি। যা কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

রাস্তায় বন্দুকধারীকে ঘিরে ধরে পুলিশ, ছবি: ‘ন্যাশনাল পোস্ট’ (কানাডা)
নোভা স্কটিয়া আরসিএমপি (পুলিশ) চিফ সুপার ক্রিস লেদার প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন, ‘মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০ এরও বেশি হওয়া নিশ্চিত, এবং নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের শ্যুটারের সাথে কোনো পূর্ব যোগাযোগ নেই বলে মনে হয়েছে’।
নিহতদের মধ্যে সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শনাক্ত হয়েছেন আরসিএমপি কনস্টেবল হেইডি স্টিভেনসন (২৩)। নিহত এ নারী পুলিশ কর্মকর্তা দুই সন্তানের জননী। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় রোববার সকালে তিনি মারা গেছেন।
নোভা স্কটিয়া সহকারী কমিশনার লি বার্গারম্যান বলেন, ‘‘হেইডি স্টিভেনসন’ কর্তব্যের ডাকে সাড়া দিয়েছিল এবং দায়িত্ব পালনকালে লোকদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়াও একজন পুরুষ অফিসার প্রাণহানি হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত’’।
‘ন্যাশনাল পোস্ট ডটকম’ থেকে শাহনূর শাহীন এর অনুবাদ
/এসএস

