

ভারতে করোনাভাইরাস নিয়ে দেশটির হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার মুসলমানদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে দাবি করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, দেশটির মুসলমানদেরকে করোনা ইস্যুতে ভিকটিমাইজ করা হচ্ছে।
ইমরান খান বলেন, মোদি সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজেদের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে গিয়ে জনগণের মনোযোগ সরানোর জন্য মুসলমানদের টার্গেটে পরিণত করছে এবং মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালানোর পায়তারা করছে।
রোববার ইমরান খান এক টুইট বার্তায় এ দাবি করেছেন।
ইমরান খান বলেন, ভারত সরকার করোনা পরিস্থিতিতে মুসলমানদের সঙ্গে গণহত্যার মতো আচরণ করছে। করোনায় আক্রান্ত মুসলমানদেরকে হিন্দু রোগী থেকে আলাদা করে ফেলছে। এমনকি অতি উৎসাহী উগ্র হিন্দুরা একটি হিন্দু ছেলেকে মুসলমান ভেবে হত্যা করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ইহুদিদের বিরুদ্ধে জার্মানিরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল, মোদী সরকার ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে সে পথেই অগ্রসর হচ্ছে। ইমরান খান বলেন, বর্তমানে মোদি সরকারের পদক্ষেপগুলো গোঁড়া হিন্দু আদর্শ ও কুসংস্কারের একটি অংশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলীগ জামাতের অপরিনামদর্শী এক জমায়েতকে কেন্দ্র করে ভারত সরকার এবং তাদের পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া একচেটিয়াভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করতে থাকে। ফলে ভারতীয় মুসলমানরা এক প্রকার হুমকির মধ্যে রয়েছে।
এ ঘটনার ফলে হিন্দু মুসলমানদের মাঝে সহিংসতা বৃদ্ধি পায় এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানদের ওপরে অসহনীয় অত্যাচার ও নিপীড়ন চলতে থাকে। ভারতে করোনা আক্রান্ত মুসলমানদের স্বাস্থ্যসেবা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি সরকারী হাসপাতালে হিন্দু রোগীদের থেকে মুসলিম রোগীদের আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যা বিশ্ব মিডিয়ায় সমালোচনার খোরাক জুগিয়েছে।
আরআর/পাবলিক ভয়েস