
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনে অবরুদ্ধ গোটা বিশ্ব। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়ার অনুমতি মিলছে না কারো। শিশুদেরও পুরোটা সময় কাটাতে হচ্ছে ঘরের চার দেয়ালে, যা বিরূপ প্রভাব ফেলছে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। তাই লকডাউনের প্রায় দেড় মাস পর অবশেষে শিশুদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে স্পেন। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এই অনুমতি প্রদান করেন।
তিনি বলেন, স্পেন এই মহামারির সবচেয়ে চরম মুহূর্ত এবং নিষ্ঠুরতম আক্রমণ পার করে এসেছে। বিশুদ্ধ বায়ু উপভোগ করার জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে চাইলে শিশুরা বাড়ির বাইরে যেতে পারবে। তবে তিনি এও বলেছেন যে, সংসদে তিনি জরুরি অবস্থা মে মাসের নয় তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত রাখার আবেদন করবেন; যাতে এতোদিন ধরে করা কষ্ট কোনো দ্রুতগতির সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এই মাসের প্রথম দিকে প্রতিদিন এক হাজার করে মানুষ মারা গেছে দেশটিতে। সেই তুলনায় এখন ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কম। যা প্রমাণ করে যে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের হার কমে গেছে।
প্রতিদিন নতুন করে সংক্রমিত হিসেবে চিহ্নিতদের সংখ্যা আপাতত স্থিতিশীল আছে। তারপরও দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, অনেক সময় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে যথাযথ তথ্য পাঠানো সম্ভব হয় না বা দেরি হয়, ফলে আক্রান্তের সংখ্যা কম বলে এখনই খুশি হওয়ার কিছু নেই।
এরপরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে শিশুদের বাইরের বাইরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়ছে। অনেকে বলছেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে শিশুদের বাসায় রাখার চেয়ে কঠিন কাজ আর নেই। এটা যতোটা শিশুদের জন্য কষ্টকর, তার চেয়ে বেশি কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের পিতা-মাতার জন্য। কারণ তারা চান তাদের শিশুরা তাজা বাতাসে শ্বাস নিক।
এমএম/পাবলিকভয়েস

