
ডেস্ক রিপোর্ট: ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধোকাবাজি, প্রহসন ও ভোট জালিয়াতির কারনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৯৮ জন প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পূনঃনির্বাচনের দাবিতে প্রেসিডেন্টের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পাঠানো অফিসিয়াল নিউজ রিলিজে এ কথা জানানো হয়েছে।
অফিসিয়াল সূত্রে জানা যায়, প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে আজ এই স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও পুলিশের বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়।
পরবর্তিতে বিএমএ ভবনের সামনে ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মী ও একাদশ জাতীয় সংদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করা প্রার্থীরা জড়ো হতে থাকে। সেখান থেকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্টের বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন।
প্রেসিডেন্টের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রেস সচিব জয়নুল আবেদীন।
স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে প্রশাসনের বাধার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দলের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম।

স্মারকলিপি প্রদানের আগে পুলিশি বাধার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দলের আমীর।
বক্তব্যে তিনি জালিয়াতির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে ।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন জনগণের সাথে চরম ধোকা। দেশের মানুষ পরিবর্তনের জন্য ভোট দিতে না পারায় আফসোস করছেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও মানুষ ভোট ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। এরূপ ভোটের কারণেই পারুল বেগমরা নির্যাতিত ও ধর্ষিত। এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের নামে আরেক প্রহসনের চক্রান্ত চলছে। পীর সাহেব বলেন, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বিশ্বের কোন স্বৈরশাসক রেহাই পায়নি। এই সরকারও রেহাই পাবে না।
সংক্ষিপ্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।
প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, মানুষের মৌলিক ও ভোটাধিকার আজ ভুলুন্ঠিত। সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও হয়রানী বন্ধের দাবি জানান।
প্রেসিডেন্ট বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করতে যাওয়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমেদ, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আবদুল কাদের ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান।