করোনা প্রতিরোধী যন্ত্র আবিষ্কার করতে গিয়ে বিপদে বিজ্ঞানী

প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২০

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। দিনরাত এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনো কেউ সফল হতে পারেননি। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার এক বিজ্ঞানী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে সাহায্য করবে এমন একটি যন্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তিনি নিজেই বিপদে পড়েন। এমনকি হাসপাতালেও যেত হয় তাকে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. ড্যানিয়েল রিয়ার্ডন নামের ওই বিজ্ঞানী গলার হার বা নেকলেস আকৃতির একটি যন্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা করছিলেন, যা মানুষকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করবে। যন্ত্রটি পরার পর কেউ মুখে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলেই তা শব্দ করে সতর্ক করে দেবে। কিন্তু ওই বিজ্ঞানীর পরিকল্পনামতো কাজ না করে উল্টো ক্রমাগত শব্দ করে যাচ্ছিল যন্ত্রটি। যা বন্ধ হয় এর কাছে একটি চুম্বক এনে রাখার পর।

রিয়ার্ডনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যন্ত্রটি ঠিক মতো কাজ করছে না দেখে ওই বিজ্ঞানী তার মুখের ওপর চুম্বকের টুকরো রাখতে শুরু করেন। প্রথমে দুই কানের লতিতে চুম্বক রাখেন। এরপর নাকের একটি ফুটোর কাছে চুম্বকের টুকরো রাখেন। কিন্তু বিপদ ঘটে যখন আরো একটি চুম্বকের টুকরো তিনি তার নাকের দ্বিতীয় ফুটোর কাছে রাখেন। এ সময় চুম্বকের আকর্ষণ ধর্মের কারণে একটি তার নাকের ফুটোর মধ্যে ঢুকে আটকে যায়।

তখন ওই বিজ্ঞানী নাকের ভেতর আটকে থাকা টুকরোটি বের করার জন্য আরো কিছু চুম্বকের টুকরো দিয়ে আকর্ষণের চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়, দ্বিতীয় চুম্বকটিও তার নাকের ভেতর আটকে যায়। এবার তিনি আর চুম্বক ব্যবহার না করে প্লায়ার্স ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে সেগুলো বের না হয়ে উল্টো তিনি নাকের ভেতর ব্যথা অনুভব করেন।

এরপর তিনি ঘাবড়ে গিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান। পরে হাসপাতালের চিকৎসকরা তার নাকের ভেতর থেকে চুম্বকের টুকরোগুলো বের করে আনেন এবং তিনি সুস্থভাবেই বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনার পর ড. ড্যানিয়েল ওই যন্ত্রটি তৈরির কাজ আপাতত স্থগিত রেখেছেন।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন