
ইউরোপের দেশ জার্মানিতে এই প্রথমবার প্রকাশ্যে মাইকে আজান দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা বিপর্যয়ের মুখে স্পেনের পর জার্মানিতে মুসলমানদেরকে প্রকাশ্যে আজান দেয়ার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জার্মান কর্তৃপক্ষের অনমুতি মেলার পর গতকাল শুক্রবার বার্লিনের একটি মসজিদে প্রথমবার মাইকে আজান দেয়া হয়। এসময় মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে।
শুক্রবার জার্মানের ৫০টিরও বেশি মসজিদে আজান হয়েছে বলে জানিয়েছে আনাদুলু এজেন্সি। তুরস্কভিত্তিক এ গণমাধ্যমটি জানায়, এদিন নেদারল্যান্ডেও প্রকাশ্যে আজান দেয়া হয়েছে।

জার্মানের কোলন শহরে তুরস্কের অর্থায়নে নির্মিত কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদ
আনাদুল জানিয়েছে, তুরস্ক-মুসলিম ছাতা গ্রুপ ডিআইটিআইবির অন্তর্ভুক্ত মসজিদ এবং জার্মানির বৃহত্তম মুসলিম-তুর্কি সংস্থার অন্যতম ইসলামিক কমিউনিটি ন্যাশনাল ভিউ (আইজিএমজি) থেকে প্রথম আজান প্রচার করা হয়।
ইউরোপীয় ইংরেজী দৈনিক ‘দ্য লোকাল জার্মান’ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মনোবল বাড়াতে দেশটির চার্চগুলিতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘণ্টা বাজানো হয়। এরইমেধ্যে মুসলমানদেরকে প্রথমবারের মতো আজান দেয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটি। এর আগে জার্মান প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে প্রকাশ্যে আজান দেওয়ার অনুমতি ছিলো না।
এর আগে গত ২০ মার্চ স্পেনে উচ্চস্বরে মুসলমানদের আজানের অনুমতি দেয় সরকারি কর্তৃপক্ষ। স্পেনে মুসলিম শাসনের পর থেকে প্রকাশ্যে আজান দেয়ার অনুমতি ছিলো না। এরপর থেকে প্রায় সাড়ে ৫০০ বছর ধরে দেশটিতে প্রকাশ্যে আজান দেয়ার অনুমতি ছিলো না।
সংশ্লিষ্ট খবর:
করোনা: রহমতের প্রত্যাশায় স্পেনে সমস্বরে আজান
সম্প্রতি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহতায়ালা রহমত কামনায় সম্মিলিতভাবে একই সময়ে নিজ ঘরের বারান্দা, জানালা এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজান দেওয়ার জন্য মুসলিম কমিউনিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংস্থা ‘ভালিয়ান্তে বাংলা’ আবেদন করে। কর্তৃপক্ষও তাতে সম্মতি প্রদান করেন। পরে ২০ মার্চ শুক্রবার দেশটিতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আজান দেয় স্থানীয় মুসলিমরা।
বিশ্বের যে কয়টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে জার্মানি তার মধ্যে অন্যতম। ইউরোপের এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৯১১৫৯ জন। আর শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ১২৩০ জন এবং নেদারল্যান্ডে মারা গেছেন ১৪৮৭ জন।
এদিকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১২ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আনাদুলু এজেন্সি ও ইউরোপীয় ইংরেজী দৈনিক ‘দ্য লোকাল জার্মান’ অবলম্বনে শাহনূর শাহীন
/এসএস

