

শাহনূর শাহীন, পাবলিক ভয়েস: স্পেন সোমবার পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় মহামারী করোনভাইরাসে ৮১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আগের আগের দিনের তুলনায় সামান্য হ্রাস পেয়েছে উল্ল্যেখ্য করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৩৪০ জনের।
সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। সর্বশেষ আপডেট জানিয়ে সোমবার সন্ধায় (স্থানীয় সময় ৬টা, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) এ খবর দিয়েছে ইউরোপ ভিত্তিক ইংরেজী দৈনিক ‘দ্য লোকাল স্পেন’ অনলাইন। এর আগে স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে স্বাস্থ্যকর্তাদের বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ইতালির পর বিশ্বের দ্বিতীয় মারাত্মক প্রকোপ পড়া দেশটিতে এর আগে রোববার মহামারী এ ভাইরাসে ৮৮৮ জন মৃত্যু হয়েছিলো যা দেশটিতে একদিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
তবে এদিন নতুন নিশ্চিত হওয়া আক্রান্তের সংখ্যাও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। গত বুধবারে ২০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার তুলনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর মতে, সোমবার একদিনে ৮.০ শতাংশ বেড়েছে। এদিন মোট ৩৭৫৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫,১৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইতালির পর ইউরোপের এ দেশটিও আমেরিকা ও ইতালির মতো আক্রান্তের দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে গেলো।
স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের টুইট
📄Publicada la actualización de datos por Comunidades Autónomas del #Covid_19 #EsteVirusLoParamosUnidos https://t.co/skv9oHroYj pic.twitter.com/VeP1pyrHL6
— Ministerio de Sanidad (@sanidadgob) March 30, 2020
স্পেনে গত ভাইরাসটির বিস্তার রোধে গত ১৪ মার্চ থেকে মোটামুটি দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। দূরবর্তী কাজ সম্ভব না হলে কাজ করতে যাওয়া, খাবার কেনা, চিকিত্সা করা বা সংক্ষিপ্তভাবে তাদের কুকুরের হাঁটাচলা ছাড়া নাগরিকদের তাদের বাড়ি ছেড়ে কোথাও যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
তবে সর্বশেষ শনিবার প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইতালির উদাহরণ অনুসরণ করেছেন এবং দু’সপ্তাহের জন্য সমস্ত অ-অপরিহার্য কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য, খাদ্য ও জ্বালানি খাতের এমন অঞ্চলগুলির মধ্যে যা অপরিহার্য বলে মনে করা হয় সেখানকার কার্যক্রম ছাড়া বেশিরভাগ অফিসের কাজ বন্ধ থাকবে এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
ইতালি: সোমবার মৃতের সংখ্যা ৮১২, মোট মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১১ হাজার
ইউরোপীয় ইংরেজী দৈনিক ‘দ্য লোকাল স্পেন’ অবলম্বনে শহনূর শাহীন
/এসএস