

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
অপরদিকে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ (সপ্তম) অধিবেশন আগামী ২২ মার্চ শুরু হয়ে ২৩ মার্চ শেষ হবে।
আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কার্য উপদেষ্টা কমিটির সপ্তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
কমিটির সদস্য রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ২২ মার্চ সকাল ১১টায় অধিবেশন শুরু হবে। আর ২৩ মার্চ সকাল ১০টায় সংসদ অধিবেন বসবে। ২২ মার্চ অধিবেশন শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সংসদ সদস্যবৃন্দ ধানমন্ডি, ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভাষণ দিবেন।
সভায় জানানো হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এর আওতায় একটি প্রস্তাব সংসদে আনা হবে। সংসদ সদস্যরা এ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিবেন। পরের দিন ২৩ মার্চ প্রস্তাবটি সংসদে গৃহিত হবে।
প্রসঙ্গত : বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে মুজিববর্ষ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান ঠিক হয়েছিল। এখন মূল ওই অনুষ্ঠান স্থগিত করে জনসমাগম এড়িয়ে এই কর্মসূচি সাজানো হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রচার রাতে হবে জানিয়ে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ সেটি হচ্ছে রাত ৮টায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়িয়ে ১৭ মার্চের উদ্বোধনী আয়োজনটি কীভাবে হবে, তার একটি ধারণা দেন। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে একটা নির্দিষ্ট সময়ে, একটা বিশেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আমরা আয়োজন করব। সেটি সব টেলিভিশনের মাধ্যমে ও আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে সম্প্রচারিত হবে এবং একই সঙ্গে সারা পৃথিবীতে।’
এদিকে বিদেশি অতিথিদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে অপর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘চলতি মাসের ১৭ তারিখেই হবে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। বড় গণজমায়েত না হলেও অনুষ্ঠানে নতুনত্ব আনা হয়েছে। তবে ওইদিনের অনুষ্ঠান ভিডিও’র মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। আর বছরব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে।
সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরবর্তী সময়ে আমাদের বড় অনুষ্ঠানের চিন্তা রয়েছে।’ ইন্সটিটিউটে ‘মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন আন্তর্জাতিক উপকমিটির’ সভা শেষে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
কামাল নাসের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য দেড় থেকে দুই ঘণ্টার টেলিভিশন অনুষ্ঠান হবে জানিয়ে কামাল চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেটাকে মোটামুটি একটা অবস্থায় রেখে চিন্তা করেছি। ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের দেড় থেকে দুই ঘণ্টার একটা টিভি প্রোগ্রাম তৈরি করা হবে।
সেটা পরবর্তীকালে সারা দেশে এবং সারা পৃথিবীতে সম্প্রচার হবে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রোগ্রামের মধ্যে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত আছে। আমাদের রাষ্ট্রপতি বাণী দেবেন। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সেখানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন, তারপর তার কবিতা পাঠ আছে।’