

রাজধানীর মিরপুর রূপনগর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫ ইউনিটের পৌনে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে ভয়াবহ এই আগুন।
আজ সকাল পৌনে ১০টায় এই আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে আরও ১৪ টি ইউনিট যুক্ত করা হয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বস্তিতে প্রায় ১০ হাজার ঘরে ৪০ হাজার কক্ষ ছিল। অধিকাংশ ঘরই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ইলিয়াস মোল্লা। আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে এসে এ মন্তব্য করেন ইলিয়াস মোল্লা।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাড়ে ১২ টার দিকে বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে ডাম্পিং ও কুলিংয়ের কাজ করছেন। এরপর তারা আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন। তিনি বলেন, আগুনে কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
আগুন সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে বস্তির দক্ষিণ পাশে আগুন লাগে। পরে তা ধীরে ধীরে উত্তর পাশের দিকে অগ্রসর হয়ে ছড়িয়ে পরে। এসময় রাস্তার পাশে থাকা একটি বাড়িতেও আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়।
বস্তির আশপাশের ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয় ফায়ার সার্ভিস। এদিকে ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মীকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আগুনে কেউ হতাহত হয়নি।
এমপি ইলিয়াস আলী বস্তির আগুন সম্পর্কে জানান, বস্তিতে একেক নেতার ২০টা, ৪০টা করে ঘর রয়েছে। বস্তির এসব নেতাদের তালিকা করা হবে। বস্তিতে থাকা অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে ইলিয়াস মোল্লা বলেন, ‘এখন এসব কথা বলছে তারা কারা? তারা এতোদিন কেন বলেনি? তাদের ধরা হবে।’
‘ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য যতগুলো আশ্রয় কেন্দ্র দরকার, তা স্থাপন করা হবে।’ দুপুরের খাবার থেকে যত বেলা খাবার দরকার হবে সব সরবরাহ করা হবে বলেও জানান এই সংসদ সদস্য।
তার দাবি, ‘বস্তিবাসীর জন্য যত ধরনের সহযোগিতা দরকার করব। সরকারি প্রশাসনের বাইরে প্রত্যেক নেতাকর্মী বস্তিবাসীর পাশে থাকব।’
রূপনগর বস্তির পাশে মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনের চলন্তিকা বস্তিতে গতবছর আগস্টে এবং চলতি বছর জানুয়ারিতে দু’দফা অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ঘরবাড়ি ও মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। কিছুদিন পর পর এই আগুন লাগলেও কোন তদন্ত কমিটি বা এই আগুন লাগার কোন কারন খুজে বের করা হয়নি।