
সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ কিথ ভাজ সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে মন্তব্য করেছিলেন, ‘এটা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না যে, যুক্তরাজ্য ভ্রমণের ভিসার জন্য বাংলাদেশের নাগরিককে নয়াদিল্লি বা অন্য কোনো দেশে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে। এ প্রক্রিয়াটি ভিসা আবেদনকারীদের একটি বাড়তি আর্থিক চাপের মাঝে ফেলে।’ তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াটি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
ব্রিটিশ ওই রাজনীতিবিদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে বসবাসকারীদের জন্য ঢাকা ও সিলেটে যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদন কেন্দ্র রয়েছে। তাই বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করতে ভারতে কিংবা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেছেন।
মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের ভিসা ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের গ্রাহকদের চমৎকার সেবা দেয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে আমরা সম্প্রতি একটি মোবাইল ভিসা সার্ভিস চালু করেছি।
ব্রিটিশ হাইকমিশন বলছে, ব্রিটিশ সরকার ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভিসা প্রসেসিং বাংলাদেশ থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর সম্পন্ন করে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের অগ্রাধিকার কমার কোনো প্রতিফলন নয়। ব্রিটিশ ভিসার প্রসেসিং দিল্লিতে নেয়ার পর আগের চেয়ে অনেক বেশি ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। ভিসার প্রসেসিং সরিয়ে নেয়ায় বাংলাদেশি আবেদনকারীদের কোনো সমস্যায় ফেলেনি।
হাইকমিশন আরও বলেছে, বাংলাদেশি ভিসার আবেদন মূল্যায়নের কাজ একই গ্রুপ করে। ভিসার হাব দিল্লি কিংবা যুক্তরাজ্যের কোথাও হলেও একই হবে। ভিসার সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্র কোথায়- সেটা কোনো ভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর প্রভাব ফেলে না। বিশ্বব্যাপী সব গ্রাহকদের জন্য একই যুক্তরাজ্যের ভিসা ও ইমিগ্রেশন বিধি প্রযোজ্য। বাংলাদেশি ভিসা গ্রাহকের জন্যও একই রকমের আবেদন প্রক্রিয়া প্রযোজ্য।
/এসএস

