

ভোলা প্রতিনিধি : সাড়া দেশের ন্যায় ভোলাতেও সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনে ২১ হাজার ৮১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২১৫৭২ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ২৩৮ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে এসএসসিতে ৭৩ জন, দাখিল ১৪৩ জন ও ভোকেশনালে ২২জন। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে আরো জানায়, জেলার সাত উপজেলায় এসএসসি’র ২৩টি কেন্দ্রে ১৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর মোট এসএসসিতে ১৪ হাজার ৬৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৭৩ জন। সদর উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬৯৬জন, দৌলতখান উপজেলায় ৩টি কেন্দ্রে এক হাজার ১৯৭ জন, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২টি কেন্দ্রে এক হাজার ৪৮২জন, লালমোহন উপজেলায় ৫টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৯২৩জন, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১টি কেন্দ্রে ৫৩৪জন, মনপুরা উপজেলার ২টি কেন্দ্রে ৪৭৮ জন এবং চরফ্যাশন উপজেলার ৫টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩৪৬জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
অন্যদিকে দাখিলে জেলায় মোট কেন্দ্র ১৫টি। এখানকার ২৩৩টি মাদ্রাসা থেকে মোট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬ হাজার ২২জন। যাদের মধ্যে সদর উপজেলার ২টি কেন্দ্রে এক হাজার ২৪জন, দৌলতখান উপজেলার ১টি কেন্দ্রে ৪৯০জন, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২টি কেন্দ্রে ৯৬০জন, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১ কেন্দ্রে ৩৭৮জন, লালমোহন উপজেলার ২টি কেন্দ্রে ৯৯৩জন, চরফ্যাশন উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে এক হাজার ৪০জন এবং মনপুরা উপজেলার ১টি কেন্দ্রে ১৯৪জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
এছাড়া ভোকেশনালে মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৯টি। এখানে কেন্দ্র রয়েছে ৮টি। এখান থেকে মোট এক হাজার ৩৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে। যাদের মধ্যে সদর উপজেলার ২টি কেন্দ্রে ৫৫৫জন, দৌলতখান উপজেলায় ১টি কেন্দ্রে ৫২জন, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১টি কেন্দ্রে ১২৯জন, লালমোহন উপজেলার ১টি কেন্দ্রে ১৫৪জন, তজুমদ্দিন উপজেলার ১টি কেন্দ্রে ৭৭জন, চরফ্যাশন উপজেলার ১টি কেন্দ্রে ২৩জন এবং মনপুরা উপজেলার ১টি কেন্দ্রে ৪৯ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ভোলা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে এক যোগে ভোলার প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবং দুপুর এক টায় কোনো প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ন পরিবেশে পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতেও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা দেবে।