

আজ (বুধবার) ভোর রাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটি ‘এইন আল-আসাদ’র ওপর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে ঘাঁটিটিতে গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করা হয়েছে। সাথে এই হামলার মাধ্যমে ইরানের রাষ্ট্রীয় বীর জেনারেল সুলাইমানী হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া শুরু হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। অপরদিকে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ও এ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তার এর পাল্টা কোন আক্রমন করেনি। ইরানী গণমাধ্যম পার্সটুডে এবং বিবিসি তাদের সংবাদে এ খবর জানিয়েছে।
আইআরজিসি আজ (বুধবার) ভোররাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির উপর আগ্রাসী মার্কিন সেনাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক হামলার কঠোর জবাব দিতে এইন আল-আসাদ ঘাঁটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। আইআরজিসি’র বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার কাপুরুষোচিত পদক্ষেপের ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘শহীদ সোলাইমানি’ এবং এই অভিযানের মাধ্যমে যে ‘মহান বিজয়’ অর্জিত হয়েছে সেজন্য বিবৃতিতে ইরানের মুসলিম জাতিকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
আইআরজিসি’র বিবৃতিতে আমেরিকাকে ‘বড় শয়তান’, ‘রক্তপিপাসু’ ও ‘দাম্ভিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হয়েছে, যদি আবার কোনো ‘শয়তানি’ করা হয় কিংবা কোনো আগ্রাসন বা উসকানি চালানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে ওয়াশিংটনকে এর চেয়ে ‘বেদনাদায়ক’ ও ‘বিপর্যয়কর’ জবাব দেয়া হবে।
একইসঙ্গে বিবৃতিতে আমেরিকার যেসব মিত্র দেশ তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যে দেশের ভূমি থেকেই ইরানের ওপর হামলা চালানো হবে সেই দেশকে শত্রু দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে তার ওপরও আক্রমণ চালানো হবে।
প্রসঙ্গত : ইরানের কুদুস ফোর্সের প্রধান ও মধ্যপ্রাচ্যের পরিচিত সমরবিদ জেনারেল কাসেম সুলাইমানী আমেরিকার ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর থেকেই ইরান আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সে উত্তেজনার পারদে আর একটু ঘী ঢেলে দিলো ইরান। যদিও আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, যদি আমেরিকার ওপর কোন ধরণের হমলা হয় তাহলে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ৫২ টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হবে।