
জবি প্রতিনিধি: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা এই নেক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠিনতর শাস্তির দাবি জানান।
সোমবার দুপুর ১২টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা উক্ত বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
উক্ত সমাবেশে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী জহির উদ্দিন ফাগুন বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে আটদশটা অপরাধের মতো ধর্ষণ আমাদের দেশে নিত্যদিনের একটা রুটিন হয়ে গেছে। ধর্ষণের খবর দেখে সকালে ঘুম ভাঙ্গে, ধর্ষণের খবর শুনে আমরা রাতে ঘুমাতে যাই। আমাদের দেশে অপরাধের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়া হয়। যার ফলে এরকম ঘটনা বেড়েই চলেছে।
ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক খাইরুল হাসান জাহিন বলেন, আজকে যে ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সাথে ঘটেছে সে ঘটনা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সাথেও ঘটতে পারতো। আমাদের হল না থাকার কারণে নারী শিক্ষার্থীরা মেসে মানবেতর জীবন যাপন করেন। যেখানে তাদের কোন নিরাপত্তা নেই।
এসময় তিনি অবিলম্বে জগন্নাথের একমাত্র ছাত্রীহল উদ্বোধন করে ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদান করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি কেএম মুত্তাকী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধের অভাবে বারবার ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা বেড়েই চলেছে। কোনো অন্যায় অপরাধ ঘটলেই আমাদের সামনে তদন্ত কমিটি নামের মূলা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
আমরা এর আগেও দেখেছি এরকম ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে প্রশাসন টালবাহানা করে। কুর্মিটোলার এই ঘটনায় প্রশাসন যদি অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ৭ দফা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক তাওসিব মাহমুদ সোহান, মেহেদী হাসান, মাহফুজুর রহমান হীরা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বকর খান, তৌফিক মেসবাহ, তিথি সরকার, মাহমুদুল হাসান মিশু ও সৌরভ আমান।
আই.এ/

